হুগলি, ২৬ আগস্ট:- দিলীপ ঘোষ বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ আছে। তার সঙ্গেও তো প্রধানমন্ত্রী ছবি আছে। তারমানে প্রধানমন্ত্রী কি দূর্নীতি করেছেন নাকি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আঙুল তোলার হিম্মত কারো নেই। আমার এমএলএ এমপি যদি চোর হয় প্রতিদিন জেলে যাচ্ছে মোবাইল পুকুরে ফেলছে। যেকোনো নেতার বাড়িতে ঢুকে যান ঢাকার কাঁরি আছে। কার টাকা? শিক্ষকরা রাস্তায় বসে আছে। খুন ধর্ষণ হচ্ছে তার কোন বিচার হচ্ছে না। অনাচারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। উনি ভাবছেন বাংলাদেশীদের ভোটার বানিয়ে ভোটে জিতে যাবেন। পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করবেন। এটা বেশিদিন চলবে না। জীবনকৃষ্ণ সাহার ঘটনা সবাই জানে। প্রথমবার সিবিআই এর কাছে যথেষ্ট ক্ষমতা ছিল না তাই কেস জমাতে পারেনি। ইডি এখন নিয়েছে।আমার মনে হয় এডির সেই ক্ষমতা যোগ্যতা আছে। এবং সাধারণ মানুষ যা চাইছে সেটাই হবে। কৃষ্ণনগরের ছাত্রী খুন প্রসঙ্গে বলেন, আগে আমরা বিহার ইউপি নিয়ে হাসাহাসি করতাম। এখন পশ্চিমবঙ্গে যার তার হাতে বন্দুক যাকে খুশি মেরে দিচ্ছে এখানে মানুষের সুরক্ষা কোথায় আছে।
যারতার বাড়িতে ঢুকে যাকে তাকে মেরে দেবে এত সস্তা হয়ে গেছে পিস্তল। আইনশৃংখলার এই অবস্থা হয়ে গেছে তারপরও মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা–চান্ডিল শাখার বরাভূম রেলস্টেশনে মর্মান্তিক ঘটনা, অসুস্থ হয়ে এক মহিলা যাত্রীর মৃত্যু হয় ট্রেনে। অভিযোগ, মৃত্যুর পর দীর্ঘ ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁর দেহ স্টেশনে পড়ে থাকলেও রেল কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। উল্টে মহিলার স্বামীকে দেহ সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। মৃত্যু যেখানে সেখানে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের সমাজ কেন অমানবিক হবে। খালি সরকার না, এমন অনেক স্টেশান আছে যেখানে কোন লোকই থাকে না। সমাজেরও দায়িত্ব আছে। পুলিশ প্রশাসন আছে। পুলিশ গিয়ে ডান্ডা মেরে লোক সরাতে পারে এটা করতে পারেনা। সমাজের মধ্যেও এ ধরনের মানবিকতা কমে যাচ্ছে।
এটাও চিন্তার বিষয়। বালি পাথর পাচার বন্ধ করতে হলে ওনার দলই উঠে যাবে। পরিযায়ী নির্যাতন প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাভাষী না বাংলাদেশী! বাংলাভাষী বলে উনি জিনিসটাকে গুলিয়ে দিতে চাইছেন। বিশেষ করে মুসলিম এখানে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে এসেছে। নদিয়া মালদা মুর্শিদাবাদ হাজার হাজার আধার কার্ড রেশন কার্ড বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা হচ্ছে ভোটার। সারাদেশে কাজ করছে লুটপাট করছে বোম ফাটাচ্ছে। যারা অরিজিনাল কোন পরিচয় পত্র দেখাতে পারেনি তাদেরকেই টার্গেট করা হচ্ছে।এখানে বলুন তো আমাদের পরিচিত কেউ কোন সমস্যায় পড়েছে কিনা। তারা পড়বে না। প্রায় এক কোটি ও ভোটার আছে এর বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে বুঝতে হবে বাংলাদেশি আর বাংলাভাষী এটা আলাদা। রাহুল গান্ধীর যাত্রায় তৃনমূল যোগ দেবে।এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যাই করুক শিকর গারতে পারবেনা তৃণমূল। রাহুল গান্ধীকে সান্ত্বনা দেওয়া হচ্ছে।করুন আমরা আছি।