হুগলি, ১২ আগস্ট:- কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়রের নাম নেই ভোটার তালিকায়,নাম নেই তার স্ত্রীরও অবাক কান্ড চন্দননগরে! তৃনমূল নেতার অভিযোগ মানুষকে ভয় দেখাতে বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এসআইআর করছে। বিজেপির দাবী, ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ার ভয় পাচ্ছে তৃনমূল। বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ নিবির সংশোধন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশান(এসআইআর) হবার কথা। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।যে তালিকা দেখে বিশেষ নিবির সংশোধন হবে। আর সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে চন্দননগর কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র অমিত(মুন্না) আগরওয়াল ও তার স্ত্রী ববিতা আগরওয়ালের নাম নেই। ১৮২ চন্দননগর বিধানসভার ২ নং অংশে খলিসানী বৌবাজারে তাদের বুথ হয়। মুন্নার মা ও ভাই এর নাম আছে তালিকায়। ডেপুটি মেয়র বলেন, ২০০২ সালের আগে পরে যত নির্বাচন হয়েছে সব নির্বাচন এই ভোট দিয়েছি।আমি নিজে তিনবার কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছি। তার আগে খলিসানি এলাকা পঞ্চায়েত ছিল পঞ্চায়েত ভোটেও আমি ইলেকশন এজেন্ট ছিলাম। এখন যে ভোটার তালিকা দেওয়া হয়েছে সেই তালিকায় দেখছি আমার নাম নেই।
আমার জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে তথ্য আছে সেগুলো চাইলে আমি দেখাতে পারবো। কিন্তু সাধারণ মানুষ যারা আর্থসামাজিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে হলে কি করবেন। ভুয়া ভোটারের কথা বলছে বিজেপি। সেগুলো ধরার দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের। যেমন নোট বন্দি করে মানুষকে লাইনে দাড় করিয়েছিলেন একি ভাবে মানুষকে হয়রান করার চেষ্টা করছেন এস আই আর এর নামে। এসব প্রত্যাহার করুন না হলে আপনাদের মানুষ জবাব দেবে। ডেপুটি মেয়র আরো বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক দলের কর্মী কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র, এলাকা যথেষ্ট পরিচিতি আছে আমারই যদি নাম না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে। চন্দননগর বিধানসভার বিজেপি কনভেনার গোপাল চৌবে বলেন, এ রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল ভয় পেয়েছে। কারণ যে ভুতুড়ে ভোটার রয়েছে এস আই আর হলে তাদের নাম বাদ যাবে। যাদের ভোটে এতদিন তৃণমূল জিতেছে সেই ভোটার তারা পাবে না। মুন্না আগরওয়াল এর নাম যদি না থাকে তার দায় বিজেপির নয়। ২০০২ সালে এই রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ছিল।