এই মুহূর্তে জেলা

পুজো অনুদানে না,বৈদ্যবাটি মহিলা পরিচালিত ক্লাবের!

হুগলি, ৭ আগস্ট:- গত বছরের মত এ বছরও দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান নিচ্ছে না বৈদ্যবাটির মহিলা পরিচালিত একটি দুর্গাপূজা কমিটি। পোস্টার হাতে তাদের দাবি নারী সুরক্ষার। গত বছর আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে দুর্গা পুজোর সরকারি অনুদান নেয়নি অনেক পুজো কমিটি। এ বছরও তার অন্যথা হচ্ছে না। হুগলির বৈদ্যবাটি মহিলা মিলন চক্র ক্লাব এ বছরও দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান নিচ্ছেন না বলে তারা জানিয়ে দিয়েছেন। ৬০ বছর ধরে দুর্গাপূজা করে আসছেন এই মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটির সদস্যরা। বাংলার নারীদের সুরক্ষার দাবিতে পোস্টার হাতে প্রতিবাদে সামিল হন বিবেকানন্দ সরণীর মহিলা মিলন চক্র ক্লাবের সদস্যরা। বিভিন্ন পুজো কমিটি গুলোকে নিয়ে নেতাজী ইন্ডোরে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর ৮৫ হাজার টাকা অনুদান ঘোষনা করেন তিনি। এ বছরে দুর্গাপুজোর কমিটিগুলোকে একলাফে ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১লক্ষ ১০হাজার টাকা করে পুজোর সরকারি অনুদান ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই অনুদান গ্রহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল বৈদ্যবাটির মিলন চক্র ক্লাব। ওই ক্লাবের সভাপতি তপতী মুখার্জী বলেন, গত বছর আরজি কর কাণ্ডের ঘটনার পর আমরা পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছিলাম।

কিন্তু গত এক বছরে অভয়ার কোন বিচার পায়নি এবং তার বাবা-মা এখনো বিভিন্ন দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমরা কোন সরকারি অনুদান নিতে চাইছি না। তিনি আরো বলেন, এই অনুদানের কি কোন প্রয়োজনীয়তা আছে? যে অনুদান তিনি দিচ্ছেন সেটা যদি কোন স্বাস্থ্য শিক্ষা বা অন্য কোন কাজে ব্যায় হতো তাহলে ভালো হতো। কারণ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, মানুষের চাকরি নেই। তাই ক্লাবকে টাকা না দিয়ে যদি ভালো কাজে ব্যবহার হয় সেটা আরো বেশি খুশি হব। বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, সরকারি অনুদান যদি কেউ না নিতে চায় তাহলে তো কিছু বলার নেই। আর এই ক্লাব গত বছর অনুদান নেয়নি। যারা এসব বলছে তাদের জানা উচিত সরকার সামাজিক সুরক্ষা থেকে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ৭২ টা প্রকল্প চালু করেছে। আবার আমার পাড়া আমার সমাধান প্রকল্পের মাধ্যমেও সরকার মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই ব্যবস্থা সারা দেশে কোথাও নেই। এখন রাজনীতি করার জন্য কেউ যদি এসব করে তাহলে কিছু বলার নেই।