এই মুহূর্তে জেলা

পোলবা পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃনমূলেরই এগারো জন সদস্য।

হুগলি, ১৬ জুলাই:- পোলবা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯ জন সদস্য।তাদের মধ্যে একজন বিজেপির বাকিরা তৃনমূলের। তৃনমূলের প্রধান মৌমিতা কর্মকারের বিরুদ্ধে তার দলেরই সদস্যদের অভিযোগ, প্রধানের জন্য গ্রামের মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রধান নিয়মিত পঞ্চায়েতে আসেন না।পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা গুলোতেও অনুপস্থিত থাকেন। যেদিন আসেন সেদিন বহিরাগতদের নিয়ে এসে পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। পঞ্চায়েতের শাসক দলের সদস্যদের সন্ধ্যায় খারাপ ব্যবহারও করেন। গ্রামের মানুষকে পরিষেবা দিতে না পারায় পঞ্চায়েত সদস্যরা ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। তাই প্রধানকে সরাতে তারা অনাস্থা এনেছেন। কয়েকদিন আগে পোলবা বিডিও অফিসে তারা অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। আজ ভিডিওর ডাকে ১১ জন তৃণমূল সদস্য সেখানে যান। দীর্ঘক্ষণ ভিডিওর সঙ্গে আলোচনা করেন।

তারা অনাস্থ্যাই অনর রয়েছেন।

মিটিং শেষে বেরিয়ে তৃণমূল সদস্যরা জানিয়ে দেন।যদি তাদের প্রস্তাব মানা না হয় তাহলে তারা আইনগত দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। অনাস্থা কার্যকর না হলে তারা গনইস্থফা দেবেন। প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেটা বলছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমি কাজকে ভালবাসি তাই এই চেয়ারে বসেছি। পঞ্চায়েতের উন্নয়নের জন্য যে টাকা আসে তার সঠিক ব্যবহার করা হয়। যারা বলছে আমার বিরুদ্ধে তারাই ঠিক মতো কাজ করে না। আমি কেমন কাজ করি সেটা জনগণ বলবে পোলবা বিডিও জগদীশ বাড়ুই জানান, পঞ্চায়েত গঠনের পড় আড়াই বছর এখনো হয়নি তাই আইন অনুযায়ী অনাস্থা আনা যাবে না জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সদস্যদের। দল কোন অনার্স তাতে অনুমোদন দেয়নি। তাই পরবা পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও অনার থানা যাবেনা। যারা অনাস্থা এনেছে তাদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি মেটানো হবে। বলেন, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা।