হুগলি, ২৯ এপ্রিল:- পনের জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার দুধের শিশুদেরও রেয়াত করেনি বাবা,তাদের ছুরি মেরে হত্যার চেষ্টা! দশ বছরের কারাদন্ড হল দোষীর। নিজের দুই সন্তান ও স্ত্রীকে ছুরি মেরে মারার চেষ্টার অভিযোগে দশ বছরের কারাদন্ড হল যুবকের। আজ চুঁচুড়া আদালতের ফাস্ট ফ্রাস্ট্র ট্র্যাক কোর্ট আজ এই সাজা ঘোষনা করে। মগরা থানার বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেস জুটমিল এলাকার বাসিন্দা সন্দীপ পাশির সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয় ওই এলাকারই জ্যোতি রাজভরের। বিয়ের পর থেকে পনের জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার করত সন্দীপ। তাদের দুই ছেলে হয়। তাদের বয়স সারে তিন ও এক বছর।
স্ত্রীর উপর অত্যাচারের পাশাপাশি দুই সন্তানকেও মারধোর করত তাদের বাবা। মাঝে মধ্যে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে ছেলেদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যেত জ্যোতি। ২০২৩ সালে ১৯ শে মে অশান্তি হওয়ার সময় নিজের বাড়িতে ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সন্দীপ। দুই সন্তানকেও গলায় ও বুকে ছুরি দিয়ে মারে। জ্যোতির মা নাতিদের বাঁচাতে গেলে তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে সন্দীপ। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশিরা চারজনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। মগরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ৪৯৮, ৩০৭, ৩২৬ ধারায় মামলা রুজু হয়।
মামলার সরকারি আইনজীবী অমিয় সিংহরায় বলেন, এই মামলায় দশ জন সাক্ষ্য দেন। হুগলি জেলে বন্দী সন্দীপ পাশি।সেখান থেকে ভার্চুয়ালী উপস্থিত থাকে সে।আজ আদালত তাকে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়। জ্যোতির বাবা অলোক রাজভর বলেন,আমরা আদালতের রায় খুশি।মেয়ে জামাই নিজেরাই দেখাশোনা করে বিয়ে করেছিল। আমরা অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই পনের জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে। দুটো নাতি কেউ ছাড়তো না। ঘটনার দিন তাদেরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচাই ওদের।