হুগলি, ৫ জানুয়ারি:- গোটা দেশে যখন শ্রমিকদের সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেই।সেখানে বাংলায় শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাপনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেকর্ড করে দিয়েছেন। এক কোটি তিয়াত্তর লক্ষ লোক নাম লিখিয়েছে। ৪১ লক্ষের বেশি মানুষ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি সুবিধা পেয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় নবজাগরণ ঘটিয়েছেন। আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি আরো বলেন, জুট নিয়ে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাতে বাংলার জুট ইন্ডাস্ট্রি সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যতক্ষন না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থায় একশ শতাংশ জুটের অর্ডার হবে ততদিন কোনো সমস্যা মিটবে না। নতুন সমস্যা তৈরী হয়েছে পলিজুট। জুট আর পলিয়েস্টার মিশ্রিত। মহারাষ্ট্র আর গুজরাটের সিনথেটিক লবির চাপ হচ্ছে ব্যাগ গুলো যাতে জুটের না হয়।
পলিয়েস্টার আর জুট মিক্স করা হয়। আমাদের দাবী সবার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত জায়গায় ১০০ শতাংশ জুটের ব্যবহার করতে হবে। যাতে অন্য কোনো ব্যাগের ব্যবহার না হয়। বস্ত্রমন্ত্রী আসেন এখানে এসে যা খুশি বলতে পারেন তাতে মৌলিক সমস্যার কোন সমাধান হচ্ছে না। পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশন শুরু হলে জুট একটা বড় এজেন্ডা এই বিষয়গুলো উত্থাপিত হবে। এনিয়ে আমরা চিঠিও দেবো। পার্লামেন্টে একটা বাংলার জুট ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে শর্ট ডিসকাশন চাইবো। জুটের প্রতিফলন বা কম ফলন যা কিছু হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তুঘলকি সিদ্ধান্তের ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে। হুগলির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃনমূল শ্রমিক সমাবেশে এসে আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি রাজ্য সভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। দাদপুরের মহেশ্বরপুর হাইস্কুলের মাঠে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা তৃনমূল নেতৃত্ব।