হুগলি, ৩ জানুয়ারি:- আজ থেকে শুরু হল কোন্নগর বইমেলা। শকুন্তলা কালি মন্দির মাঠে এই মেলায় নানা ধরনের বই এর স্টল। কিন্তু জায়গা হয়নি তৃনমূল মুখোপত্র জাগো বাংলার স্টলের। কোন্নগর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তন্ময় দেবের নেতৃত্বে কোন্নগর মেলার বাইরে জাগো বাংলার বুক স্টল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেলার মূল অনুষ্ঠান মঞ্চের পাশেই রয়েছে একটি বুক স্টল কোন্নগর সবুজ যোদ্ধা নামে সেখানেও মুখ্যমন্ত্রীর বই বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। অনুষ্ঠানের শেষে মূল মঞ্চ থেকে নেমে তৃনমূল সাংসদ কোন্নগর পুর প্রধান স্বপন দাসকে বলেন, কেন দু’খানা বুক স্টল করা হবে কোন্নগর মেলায়। আর জাগো বাংলা স্টল বাইরে কেন হবে? জাগো বাংলার স্টল দেওয়া উচিত ছিলো মেলায়।এটা ঠিক হয়নি। এটা আমি মানতে পারছি না। পুর প্রধান তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন মঞ্চের পাশেই দেওয়া হয়েছিল।ক্ষুব্ধ সাংসদ বলেন, ওপাশটায় কে দেখতে যায়।ফালতু কথা কেন বলছিস। এ কথা বলেই স্পষ্ট রেগে গিয়ে মেলা থেকে বেরিয়ে যান। যাওয়ার পথে একটি ফাঁকা স্টল দেখে দাঁড়িয়ে পরেন। তারপর মেলার বাইরে বেরিয়ে জাগো বাংলার স্টলে যান।
পুর প্রধান স্বপন দাস বলেন, বারো তারিখ পর্যন্ত চলবে বইমেলা। ৫৬ টা স্টল দেওয়া হয়েছে। বই মেলায় রাজনৈতিক কোনো স্টল দেওয়া হয়নি। এটা সরকারি অনুষ্ঠান এখানে রাজনীতির বিষয় নেই। মেলায় প্রকাশনা সংস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় আগে আসার ভিত্তিতে। যারা আগে টাকা দেয় তারা পায়। অনেকেই পরে এসেছে তাদের দিতে পারিনি। জাগো বাংলা যে স্টল চেয়েছিল সেটা বুকিং হয়ে গিয়েছিল তাকে আমি বাদ দিতে পারিনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই অন্য একটি স্টলে আছে। জাগো বাংলা যখন আবেদন করে তাদের একটি স্টল দেওয়া হয়েছিল। সেটা ওদের পছন্দ হয়নি। কোন্নগর শহর তৃনমূল সভাপতি তন্ময় দেব বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টলে এসেছিলেন।কাকে কি বলেছেন সেটা দলের উচ্চ নেতৃত্বের বিষয়। আমাদের কাছে নির্দেশ ছিলো তাই বাইরে স্টল দিয়েছি। যদিও সামাজিক মাধ্যমে তন্ময় দেবের নাম করে একটি লেখা ভাইরাল হয়। যেখানে লেখা, কোন্নগর পুর প্রধান স্বপন দাসের অনমনীয় মনোভাবের কারনে বইমেলায় জাগো বাংলার স্টল করা গেলো না।