হুগলি, ২১ ডিসেম্বর:- সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে বিজেপির। হুগলি সাংগঠনিক জেলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লক্ষ কিন্তু এখনো পর্যন্ত ৫১ হাজার সদস্য করতে পেরেছে জেলা নেতৃত্ব। সক্রিয় সদস্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই খামতি রয়ে গেছে। সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করার কথা ছিল ৩০০০ সেখানে ৩৬৩ জন মোটে সক্রিয় সদস্য হয়েছেন। এই তথ্য দেখে ক্ষুব্ধ মহাগুরু। পান্ডুয়ায় সদস্যতা অভিযানের কর্মশালা এসে তিনি কর্মীদের জানিয়ে দেন আমি বসের নির্দেশে এসেছি। বসকে কি জবাব দেব?(প্রধানমন্ত্রী)। মিঠুন কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন কি জোস দেখলাম মালা পড়ানোর ধুম লেগে গেলো এর আগেও দেখেছি, ভাবলাম কিছু হবে কিন্তু কিছু হয় না। আমাকে ডেকে আনবেন আমি মুড়ি গুড় খেয়ে প্রচার করব তার রেজাল্ট হবে জিতে যাওয়া সিট হার। কি লজ্জা! আমি কথা দিয়েছিলাম তাই এসেছি। না হলে পার্টি কে সময় দিয়ে কি লাভ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি। আমাকে কি কি না অফার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমার বিশ্বাস পার্টি শক্তিশালী হলে সব হবে। বস আমাকে বলে রেখেছেন নো মার্সি, যারা কাজ করবে না তাদেরকে সরে যেতে হবে।
এত জায়গায় ঘুরে এলাম সব জায়গায় কি জিততে পেরেছি? না। কারন আমরা সব জায়গায় কাজ করতে পারিনি। দলীয় কর্মীরাও মিঠুনের কাছে অভিযোগ জানান, দলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। বর্তমানে ১০ শতাংশ কর্মী সক্রিয় ভাবে কাজ করে। পরে এ বিষয়ে মিঠুনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগে সব ফেক মেম্বারশিপ ছিল, এখন যেগুলো হচ্ছে সেগুলো সঠিক। এখানে যতগুলো বিধানসভা আমি দেখেছি সবগুলোতেই জেতা আছে। কিন্তু আমরা জিততে পারেনি, এটা একমাত্র কারণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেটা খুবই দুঃখের খবর।যদি সবাই কাজ করতো, তাহলে লকেট কে হারতে হতো না। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা যদিও মানতে চাননি হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, তার মতে কয়েকজন হয়তো নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে সবাই দলের দলের কথা ভেবে লড়াই করছে। সমন্বয় যদি না থাকতো তাহলে আমাদের সদস্য একান্ন হাজার হতো না। আগে খাতায় লিখে মিসকল দিয়ে সদস্য হত। এখন মোবাইলে রেজিস্টার করাতে হচ্ছে টেকনিক্যাল কারণে সমস্যা হচ্ছে।