মাদারিহাট, ৮ নভেম্বর:- আগামী ১৩ ই নভেম্বর ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অত্যন্ত নজর কারা কেন্দ্র আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট। এই কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা।লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। বিজেপির দখলে থাকা এই মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া শাসকদল। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হলেও এই মাদারিহাটে ঘাসফুল ফোটানো সম্ভব হয়নি এখনো।ফলে উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের তত্ত্বাবধানে গোটা মাদারিহাট বিধানসভায় প্রচার করছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো। মাদারিহাট ব্লকে পঞ্চাশোর্ধ জহরলাল সাহার নেতৃত্বেই চলছে ভোট প্রচার। কোনরকম বড় সভা নয়, এলাকায় এলাকায় গলিতে গলিতে ছোট ছোট সভার উপরেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন জহরলাল।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাদারিহাট ব্লকের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন জহরলাল। কখনো নিজের পাড়ায় আবার কখনো পাশের পাড়ায় সকলকে সঙ্ঘবদ্ধ করে ঘাসফুল ঝাণ্ডা কাঁধে নিয়ে প্রচারে বেরোচ্ছেন এই তৃণমূল কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় নেতৃত্বের উপর ভরসা করছেন, যে কারণেই স্থানীয় মুখ জয়প্রকাশ টোপ্পকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিদিন যে মানুষগুলো পাড়ার লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তাদেরকেই প্রাধান্য দেবে দল নব জোয়ার কর্মসূচিতে এসে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে জহরলালরা একত্রিতভাবে নিজেদের এলাকায় ঘাসফুল ফোটানোর জন্য প্রচার করে চলেছেন। তাদের অস্ত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রকল্প। রাজ্যের সরকারের প্রকল্প , লক্ষীর ভান্ডার থেকে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে রূপশ্রী এই একাধিক প্রকল্পের কথা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বলছেন তৃণমূল কর্মীরা। গোটা বিধানসভায় মোট বুথের সংখ্যা ২২৩। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে মাত্র দেড় বছরের জন্য একবার সুযোগ দেওয়া হোক তৃণমূল প্রার্থীকে।
দেড় বছরে যদি জন সাধারণের কাজ বা তাদের দাবি দাওয়া মেটাতে অপারগ হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি সেক্ষেত্রে ২০২৬ সাধারণ নির্বাচনে মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত তাদের রায় ভোট বাক্সে দেবেন। জহরলাল সাহা দিন জানান “একদা বাম দুর্গ, পরবর্তী ক্ষেত্রে বিজেপি দুর্গ, সেখানে এই উপনির্বাচনে একতরফা ভোট হবে না ।মানুষ বুঝতে পেরেছে রাজ্যের সরকারে যে দল আছে সেই দলের প্রতিনিধি হলেই মাদারিহাট এর সমস্যার সমাধান হবে। তার দাবি বিগত সারে ৮ বছর যাবৎ যিনি বিধায়ক ছিলেন তিনি সাধারণ মানুষের দাবী দাওয়া মেটাতে পারেননি”। তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারে উল্লিখিত দাবি গুলি অর্থাৎ মাদারিহাট কলেজ করতে হবে এই কথা নিয়েই একাধিক প্রান্তে গিয়ে প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বলছেন জহরলাল সাহা ।স্বপ্ন দেখছেন আগামী ২৩ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ঘাসফুল ফুটবে এই মাদারিহাটে।