এই মুহূর্তে জেলা

বিস্মৃতির আড়ালে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র বাণীকুমার !

হাওড়া, ২ অক্টোবর:- বিগত ১৯২৮ সালে মহালয়ার পুণ্যলগ্নে শুরু হওয়া ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ গীতি আলেখ্যর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির ঐতিহ্য। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র জনপ্রিয়তা আজ সর্বজনবিদিত। এই ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র বেতার সম্প্রচারক, রচয়িতা এবং পরিচালক বাণী কুমারের বাড়ি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর থানা এলাকার কানপুরে। বাণী কুমারের আসল নাম বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য। হাওড়া জেলার আমতা এক নম্বর ব্লকের কানপুর গ্রামে মামার বাড়িতে ১৯০৭ সালের নভেম্বর মাসে জন্মেছিলেন বাণী কুমার। পরবর্তী সময়ে হাওড়া জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে ছাত্র জীবনের শেষে টেঁকশালে চাকরি নেন। কিন্তু সেখানে মন টেকেনি। এরপর ফিরে এসে চাকরি নেন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে। স্ক্রিপ্ট রাইটার থেকে থেকে অনুষ্ঠান পরিচালক ছিলেন বাণী কুমার।

তৈরি করেছিলেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র মতো একটি কালজয়ী গীতি আলেখ্য। যা মহালয়ার দিন ভোরে বছর বছর বেজে ওঠে। কিন্তু জন্মস্থানেই বাণী কুমার বাস্তবিকই অবহেলিত। অথচ হাওড়া শহরে বসেছে তার মূর্তি। সেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন পুরসভার তদানীন্তন কাউন্সিলর শ্যামল মিত্র। উদ্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। আমতার কানপুরে বাণীকুমারের জন্ম। এই তথ্য বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকেই জানেন না। তবে প্রবীণরা ওয়াকিবহাল। কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত বাণী কুমারের জন্মস্থান। মামার বাড়ির ভিটেতে জন্মেও সেই জন্মস্থানের অবস্থা আজ যেন শুধুই ইতিহাসের সাক্ষী। উল্লেখ্য, বাণীকুমারের পৈত্রিক বাড়ি হুগলির আঁটপুরে।