হুগলী, ১ অক্টোবর:- পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হুগলির কানাগড় এলাকায় বসবাস করতেন জোৎস্না তেওয়ারি তার পরিবারকে নিয়ে। ২০১৭ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর রাত নটা নাগাদ জোৎস্নার ছেলে রাজু তার মার সঙ্গে জায়গা জমি বিক্রির টাকা নিয়ে ঝগড়া অশান্তি শুরু করে। সেই সময় হঠাৎ রাজু তার মাকে ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে গুলি করে। গুলির আওয়াজ শুনে জোৎস্নার অন্যান্য ছেলে ও বউরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখেন জোৎস্না রক্তাক্ত অবস্থায় বাইরে পড়ে রয়েছে এবং রাজু তাদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছে। এর পরেই জোৎস্না কে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়া হয়। রাজু দাদা বীরেন্দার তেওয়ারি চুঁচুড়া থানায় তার ভাইয়ের নামে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ সেই সময় ৩০৭ ও ২৬ ধারায় মামলা রুজু করে।
এরপরে গ্রেপ্তার হয় রাজু তেওয়ারি। ঘটনার পরের দিন চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হসপিটালে মৃত্যু হয় জোৎস্নার। তারপরে পুলিশ আদালতে আবেদন করে ৩০২ ধারা যোগ করে। পুলিশ রাজুকে হেফাজতে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। পরে পুনরায় ২৫ ও ২৭ আর্মস এ্যাক্ট যুক্ত হয় মুল মামলায়। এই ঘটনায় মোট ১৪ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ২৭শে আগস্ট রাজু তেওয়ারিকে দোষী সাব্যস্ত করে চুঁচুড়ার প্রথম দায়রা আদালতের বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা। মঙ্গলবার রাজুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন মহামান্য বিচারক। ৩০২ ধারাই যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড। ২৫ অ্যামস এ্যাক্টে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০০ টাকা জরিমানা। অনাদায়ে তিন মাসের জেল। ২৭ অ্যামস এ্যাক্টে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড। সমস্ত সাজা একই সঙ্গে চলবে।