এই মুহূর্তে জেলা

মৃৎশিল্পী না হয়েও দু ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে নজির গড়লেন কলেজ পড়ুয়া।


শান্তিপুর, ২৭ সেপ্টেম্বর:- গ্রাজুয়েশন পাশ করার পরে নিজের শিল্পত্বকে ধরে রাখতে চাইছে নদীয়ার শান্তিপুর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ বছর বয়সী যুবক সৌম্যদীপ মন্ডল। এবছর দু ফুট উচ্চতার সুদর্শন দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে এক অনন্য নজির গড়লেন ওই যুবক। বাবা সন্দীপ মন্ডল, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, সংসারের হাল ধরতে একমাত্র ছেলে সৌম্যদীপ। গত চার বছর আগে সে বিভিন্ন প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করে, প্রথমে দু ফুট উচ্চতা এছাড়াও সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করেছিলেন, এরপর সেই প্রতিমা পাড়ি দিয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এবছর আবারও সে প্রতিমা তৈরির বরাত পায়, কলকাতার নিবাসী এক বাঙালি দুর্গা প্রতিমা তৈরীর অর্ডার দেন সৌম্যদীপকে। সেইমতো দু ফুট উচ্চতার প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষ করেছেন সৌম্যদীপ। প্রতিমা তে রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ, দেবী দুর্গা মহিষাসুর এবং সিংহের সাজসজ্জা পুরোটাই মাটির তৈরি। পেছনের সুদর্শন চালি তৈরি করা হয়েছে, দেবীর দশ হাতের অস্ত্র থেকে শুরু করে পুরোটাই তৈরি করা হয়েছে, মাটির সাজে।

সৌম্যদীপের কথাই, তিনি ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন আর্ট এর উপর ঝোক ছিল তার, স্কুল জীবনে যখন বাড়ি ফিরতেন কুমোর পাড়ায় গিয়ে প্রতিমা তৈরি করা দেখতেন, এরপর কলেজে পড়াশোনা শুরু করে, তাও সেই নেশা ঝোঁক কাটেনি তার। কুমোর পাড়ায় মৃৎ শিল্পীদের তৈরি কাজ নিজের চোখে দেখে সেখান থেকেই শুরু হয় প্রতিমা তৈরী করার ইচ্ছে। গত চার বছর আগে শুরু করেন বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা তৈরীর, এর আগেও অতি ক্ষুদ্র কালী প্রতিমা তৈরি করে নজর করে কেড়েছিলেন, এ বছরও একটি ক্ষুদ্র কালী প্রতিমা তৈরি প্রায়ই করে ফেলেছেন, আর সেই প্রতিমা পাড়ি দেবে আবারো কলকাতার উদ্দেশ্যে। সৌম্যদীপের বাড়িতে রয়েছে তার মা ও বাবা, একমাত্র সন্তান হিসেবে পরিবারের হাল ধরে রাখতে বিকল্প সৌম্যদীপ ছাড়া আর কেউ নেই। ইতিমধ্যে গ্রাজুয়েশন পাশ করে তার আগামী দিনের লক্ষ্য শিল্পকে ধরে রাখা, আগামীতে তার হাতের ক্ষুদ্র কাজ যাতে বিশ্বের দরবারে পৌঁছায় সেই চেষ্টাই চালাবেন সৌম্যদীপ। নদীয়া থেকে জগন্নাথ মন্ডলের রিপোর্ট।