হুগলি, ২৫ সেপ্টেম্বর:- ধারালো হাঁসুয়া(কাটারি) পরে আছে রাস্তায় পাশে চাপচাপ রক্ত। বৌদি পানমনি হাঁসদাকে কুপিয়ে খুন করে পুলিশে ধরা পড়ল দেওর অনিল হাঁসদা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পোলবার আলিনগরের আদিবাসী পারার বাসিন্দা পানমনি তার বোন রানু হাঁসদাকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন আজ বেলায়। আলিনগর পোলবা রোডের পাশের একটি ক্লাবে হাঁসুয়ায় শান দিয়ে অপেক্ষা করছিল অনিল। হঠাৎ করেই বৌদির উপর ঝঁপিয়ে পরে।ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতো থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় পরে যান পানমনি। পরিবারের লোকজন স্থানীয়রা ছুটে আসতে পালিয়ে যায় আততায়ী। জখমকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পোলবা থানার পুলিশ পৌঁছায়।
হুগলি গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি ডিএন্ডটি প্রিয়ব্রত বক্সি আলিনগরে ঘটনাস্থলে যান। ডিএসপি জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, অভিযুক্ত একটি বাড়ি তৈরী করছিল। তাতে বাধা দেন পানমনি। এছাড়া অনিলের দাদা সুনীলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। সেই মৃত্যুর জন্য বৌদিকে দায়ী করে রাগ পুষে রেখেছিল। আজ ধারালো হেঁসো দিয়ে কুপিয়ে দেয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবদের সময় সে জানতে চায় বৌদি কেমন আছে। খুনে ব্যবহৃত হাঁসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতার বোন রানু বলেন, দিদির ঘরের দেওয়াল ঘেঁসে পাঁচিল তুলছিল অনিল। বারন করায় সে ঝগড়া করে। আমরা বাপের বাড়ি যাচ্ছিলাম। হাঁসুয়া নিয়ে ক্লাবের সামনে ছিল, দিদিকে কুপিয়ে খুন করে অনিল।