এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় সার্ভিস সেন্টার থেকে ‘চুরি’ যাওয়া ১৮ লাখের গাড়ি উদ্ধার ওড়িশায়।

হাওড়া, ২৫ জুলাই:- হাওড়ায় একটি নামি কোম্পানির সার্ভিস সেন্টার থেকে ‘চুরি’ যাওয়া ১৮ লাখের স্করপিও গাড়ি ওড়িশার জলেশ্বর থেকে উদ্ধার করলো পুলিশ। ওই ঘটনায় চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল হাওড়ার সাঁকরাইল থানায়। এই ঘটনায় সার্ভিস সেন্টার কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন অপরিচিত এক দুষ্কৃতী বেলা ১১টা নাগাদ হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকার জঙ্গলপুরের একটি নামি গাড়ি কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে জালিয়াতি করে ওই স্করপিও গাড়ি গেট পাস ছাড়াই নিয়ে পালায়। এই ঘটনার পর পুলিশে জানানো হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ একটি টিম গঠন তৈরি করে তদন্ত শুরু করে। যে পথ ধরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে ছিল সেই রাস্তা ধরে ধাওয়া করে পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়। এর পাশাপাশিক ওই রাস্তায় একাধিক নাকা পয়েন্ট তৈরি করা হয়। দীর্ঘক্ষণ দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করা হয়। অবশেষে ওড়িশার জলেশ্বরে গাড়িটি ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। ২৪শে জুলাই সন্ধ্যায় সেই গাড়িটি সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনায় যুক্ত দোষীদের সনাক্ত এবং তাদের খোঁজে রোড তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, হাওড়ার লিলুয়ার কোনা বাগপাড়ার বাসিন্দা অমিত বিশ্বাস তাঁর গাড়িটি সাঁকরাইলের একটি নামি কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে সার্ভিসের কাজ করানোর জন্য দিয়েছিলেন। গত ১৭ জুলাই গাড়িটি সার্ভিস সেন্টারে দেওয়ার পর কাজ শুরু হয় পরদিন। কিন্তু তাঁর দাবি, ২১শে জুলাই ওই সার্ভিস সেন্টার থেকে ফোন করে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কি কাউকে গাড়ি আনতে পাঠিয়েছিলেন ?

তার উত্তরে অমিত জানান, তিনি বা তার কোনও প্রতিনিধি সার্ভিস সেন্টারে গাড়ি আনতে যাননি। এরপর অমিত বাবু সাঁকরাইল থানা মারফত জানতে পারেন তাঁর গাড়িটির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পায়। তাতে দেখা যায় গাড়িটি পাঁচলা এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরে মেদিনীপুরের দিকে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গাড়ি চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন অমিত বাবু। হাওড়া সিটি পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) বিশ্বজিৎ মাহাতো জানান, অভিযোগ পেয়েই তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। একটি বিশেষ টিমও পাঠানো হয়। অবশেষে গাড়িটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।