কলকাতা, ২১ জুলাই:- দুর্নীতির সঙ্গে দল কোন ভাবেই আপোষ করবে না বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। ধর্মতলায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসের বাৎসরিক শহীদ স্মরণ সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি দলকে সম্পূর্ণভাবে শুদ্ধিকরণের বার্তা দিয়েছেন। মমতা ব্যানার্জি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস শুধুমাত্র কোন রাজনৈতিক দল নয় এটি মানুষের সেবা করার মঞ্চ। তাই দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করা হবে না। মানুষকে যারা পরিষেবা দেবে না তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কংগ্রেস বিত্তবান কর্মী চায়না বরং বিবেকবান কর্মী চায়। তাই কোন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তিনি যে স্তরেরই হোক না কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলনেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের সাফল্যের জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, নির্বাচনী সাফল্যে আত্মতুষ্টির কোন জায়গা নেই। বরং দলের নেতাকর্মীদের আরো দায়িত্ববান আরো বিনয়ী হতে হবে। এখন থেকে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ওই ভোটে উত্তরবঙ্গেও দল ভালো ভোট পাবে বলে তিনি আশাবাদী।
এর আগে দলীয় নেতা কর্মীদের কঠোর বার্তা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দলের হাতে থাকা যেসব পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় গত লোকসভা ও সাম্প্রতিক বিধানসভা উপ নির্বাচনে দল পিছিয়ে ছিল সেখানকার নেতাদের ভূমিকা তিনি গত একমাস ধরে পর্যালোচনা করেছেন। কিছু কিছু পুর চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতিরা নিজেরা ভোটে জিতেছেন। কিন্তু লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে দলকে জেতাতে পর্যাপ্ত পরিশ্রম করেনি। এদের সবাইকে আগামী তিন মাসের মধ্যে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক নির্বাচনী সাফল্যকে মানুষের উদ্দ্যেশ্যে উৎসর্গ করে অভিষেক ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী বিজেপির হাতে ইডি সিবিআই আয়কর বিভাগ আছে অর্থ বল ও আছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে। তার বলেই তৃণমূল কংগ্রেস বারবার বিজেপিকে ভোটে পর্যুদস্ত করেছে। ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি হিসেবে সমাজবাদী পার্টি নেতা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবসের সমাবেশে যোগ দেন। তিনি বলেন, দিল্লির সরকার টিকবে না। খুব শীঘ্রই পতন হবে। কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন,‘দিল্লিতে যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁরা তা ধরে রাখার জন্য শহিদ ধার নেন। যা খুশি তা-ই করতে পারেন। যখন জনতা জেগে ওঠে, এই সব লোকের মিথ্যা প্রচার ধাক্কা খায়।