হুগলি, ১৪ জুলাই:-গোটা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে। একের পর এক ঘটনা ঘটছে চোপড়া থেকে শুরু করে কোচবিহার থেকে শুরু করে ফাঁসি দেওয়া। বিষ প্রশাসন এখনো পর্যন্ত তাদের অপদার্থ তার ট্র্যাক রেকর্ড ঠিক রেখেছে। এটা হচ্ছে সম্পূর্ণ পুলিশ মন্ত্রীর অপদার্থ তার কারণে। কলকাতায় যখন তোলাবাজির রাকেট চলছে ইসলামপুরে সেই একই কারণে হয়তো গুলি চালানো হয়েছে। গতকাল তৃণমূল নেতারা দাবি করেছিলেন বিজেপি নাকি গুলি করেছে। আজকে মৃতের পরিবার দাবি করছে সিবিআই তদন্তের। তারমানে পরিবারের ভরসা তৃণমূলের সরকারের উপর বা তৃণমূলের পুলিশের উপর নেই। ভরসাটা বিজেপির সরকারের উপর নরেন্দ্র মোদির উপর আছে। তাই সিবিআই তদন্ত চাইছেন। পরিবারের উচিত আদালতে যাওয়া আমরা আইনি সহায়তা দেবো এবং আমাদের সিবিআই তদন্তে কোন আপত্তি নেই।
গোটা রাজ্যজুড়ে একটা যেভাবে তৃনমূলের তোলাবাজির র্যাকেট চলেছে, বালির মাটির রেকেট চলছে আরো অবেক ধরনের র্যাকেট। কাজ নেই তো কোন মানুষের। স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের অবৈধ কাজে মানুষ যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। যখন ফরমাল ইকোনমি চলেনা তখন ইমফরমাল ইকোনমি চলে এটাই অর্থশাস্ত্রের নিয়ম। সেটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ১২-১৩ বছরে কোনো শিল্প স্থাপন হয়নি তাই মানুষ তোলাবাজি করবে এবং তৃণমূল নেতাদের জীবন যাবে। আমি তাই বাড়ির মায়েদের বলবো আপনার ছেলেদের তৃণমূল করতে পাঠাবেন না। অন্য যেকোনো দল করতে পাঠান। তৃণমূলের পাঠালে তার মৃত্যু হতে পারে। কাশি বস লেনে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে বলেন, কলকাতা কর্পোরেশনের অবস্থা সঙ্গিন। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্জলী যাত্রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী মিলে করে ফেলেছেন। রাজ্যে কেন্দ্রের যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো ভালো কাজ করছে।
রাজভবনের সামনে ধরনার বিষয় বলেন, আদালত থেকে অনুমতি দিয়েছে তাই সেখানে ধরনা হয়েছে এবং আমরা দল থেকে সব রকম সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।আগামী দিনে আরো আন্দোলন চলবে। দিনহাটা দুই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বলেছেন যারা লক্ষীর ভান্ডার পেয়েও বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তাদের লক্ষীর ভান্ডার থেকে নাম কেটে দেওয়ার কথা বলেন। সেপ্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি বলেন, উনার কথা শুনে মনে হচ্ছে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ওনার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে দেন। টাকাটা আমাদের করের টাকা। আমাদের করের টাকায় লক্ষীর ভান্ডার চলছে। কাটতে বলুন আবার কান মোলা দিয়ে দেওয়ানোর ব্যবস্থা করব। দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি চাইছে বিজেপি কর্মিরা সে বিষয়ে বলেন, আমার সামনে এরকম কেউ বলেনি। নতুন সভাপতি নির্বাচনের একটা পদ্ধতি আছে।ভারতীয় জনতা পার্টির একটা পদ্ধতি আছে, সেটা মেনেই হয়।সেই পদ্ধতি অনুসারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবে কে সভাপতি হবে।