হুগলি, ৬ জুলাই:- ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। ঝাড়গ্রামের শিলদায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে থাকা সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ২৪ জন জওয়ানকে হত্যা করেছিল মাওবাদীরা। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অপরাধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মেদিনীপুরের আদালত ২৩ জন মাও নেতাকে যাবজ্জীবন কাটানোর নির্দেশ দেয়। যাদের মধ্যে অন্যতম অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম। বর্তমানে হুগলি জেলে বন্দি থাকা অর্ণব বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পিএইচডি করার প্রথম ধাপ ইন্টারভিউতে প্রথম হলেন। অর্ণব ছোট থেকেই মেধাবি বলে খবর। শিলদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিকবার জেল ও জামিন পর্ব চলে চলেছে। শেষমেষ, দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনেছেন। কিন্তু শিক্ষালাভের ইচ্ছা থেমে থাকেনি।
সম্প্রতি হুগলি জেল কর্তৃপক্ষকে পিএইচডি করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সহজেই সাড়া মেলেনি। পরে আদালতের অনুমতি মিলতেই জেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন জানান। সেই আবেদনে সারা দেয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৬ জুন পুলিশি প্রহরায় হুগলি জেলা সংশোধনাগার থেকে অর্ণবকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। এখানেই তিনি ভাইভা অর্থাৎ ইন্টারভিউ দেন। শুক্রবার সেই পরীক্ষারই মেরিট লিস্ট বেরিয়েছে। যেখানে ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক নম্বরে অর্ণব। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর ইতিহাস বিভাগে পিএইচডি করার জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয় মোট আসন সংখ্যা ৯টি। অর্ণবের এই সাফল্যে খুশি অনেকেই। খুশি সিপিআই (এমএল) লিবারেশন নেতা সুদর্শন বসু।