এই মুহূর্তে জেলা

পোলবায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সজন পোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দলেরই সদস্যদের।

হুগলি, ২৬ জুন:- প্রধান তাদের পাত্তা দেয়না,পঞ্চায়েত অফিসে দই আইসক্রিম খায়, রোমান্স করেন,এমনই অভিযোগে তৃনমূল সদস্য ও কর্মিরা পোলবার রাহজাট গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে। প্রধানের দাবী, ওরা আমাকে সরাতে চায়। তৃনমূল সদস্যদের অভিযোগ পঞ্চায়েতের ২১ টা সংসদ রয়েছে। অথচ প্রধান প্রিয়াঙ্কা সূর তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া আর কোনো সংসদে কাজ করেন না। ফিফটিন ফাইন্যান্সের টাকায় কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু দলেরই কাউন্সিলররা বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকার উন্নয়ন থমকে আছে। প্রধান অন্যের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন দলের লোকের কথা শুনছেন না। আজ এবিষয়ে ফায়সালার জন্য তৃনমূল সদস্য ও দলীয় কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসে জড়ো হন। শুরু হয় হই হট্টগোল।

পঞ্চায়েতের ভিতরে জয় বাংলা শ্লোগান ওঠে। প্রধান পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে চলে যান। তৃনমূল রাজহাট অঞ্চল সভাপতি রূপকুমার করের অভিযোগ প্রধান মনমানি করছেন। আমাদের কথা শোনেননা। প্রধান কারো সাথে কোন আলোচনা করে না নিজে যা মনে হয় তাই করে। তৃনমূল কর্মি সন্দীপ মালাকার একটি ছবি দেখিয়ে অভিযোগ করেন, স্বামীর সঙ্গে বাড়িতে রাগ অভিমান হলে সেটা পঞ্চায়েত এসে মেটায়। কখনো দই খাইয়ে কখনো আইসক্রিম খাইয়ে রাগ ভাঙ্গায়। পঞ্চায়েতটা কাজের জায়গায় সেটাকে রোমান্সের জায়গা বানিয়ে ফেলেছে। আগে আমরা অনেক প্রধান দেখেছি কিন্তু এরকম দেখিনি। আমাদের দলীয় কর্মীদের সাথে কোন রকম আলোচনা করেনা।এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ওনার বুথে এবারে লোকসভা ভোটে আমরা হেরেছি।

উনি বিজেপি ভাষা হয়ে গিয়েছেন। আমরা চাই প্রধান পদত্যাগ করুক। রাজাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রিয়াঙ্কা সূর বলেন, কোন সমস্যা তৈরি হলে আমি সমাধান করার চেষ্টা করি না এটা যদি বলে থাকে তাহলে মিথ্যা বলছে। পঞ্চায়েতের সদস্যরা পঞ্চায়েতেই আসেন না।পঞ্চায়েতের কাজ এই সবে শুরু হয়েছে।ধাপে ধাপে বিভিন্ন সংসদে কাজ হবে। আমার পঞ্চায়েত লোকসভা ভোটে লিভ দিয়েছে।ওরা চাইছে আমাকে কি করে সরানো যায়। আমাকে কেন সরাতে চাইছে সেটা বুঝতে পারছি না। বিধায়কের সঙ্গে সেরকম আদান-প্রদান আমার নেই। যেহেতু উনি আমাকে প্রদান করেননি, অন্য কাউকে সিলেক্ট করেছিলেন। আমি প্রধান হওয়ার পর একদিন উপপ্রধান বলল চলো দই খাই। সেই ছবি তুলে রেখেছিল। আমরা স্বামী-স্ত্রী আমাদের মধ্যে যদি এটা হয় তাহলে বুঝোন ওদের মনোভাব টা।