এই মুহূর্তে কলকাতা

প্রায় শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হল পঞ্চম দফার নির্বাচন।

কলকাতা, ২০ মে:- প্রায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হল পঞ্চম দফার নির্বাচন। শুধু বেলা ১১ টা থেকে শুরু হওয়া, ঘন্টা খানেকের ভারী বৃষ্টি কিছুটা তাল কেটেছিল। যদিও তারপর ঠান্ডা আবহাওয়ায় মানুষ ভোট দিয়েছেন উৎসবের মেজাজে। তবে অশান্তি একবারে হয়নি তা নয়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন সাত আসনে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩ শতাংশ। আগের চার দফার মতো পঞ্চম দফাতেও ভোটের হার স্বাভাবিকের থেকে কম। পশ্চিমবঙ্গে এদিন যে সাতটি আসনে ভোট হলো সেখানেও এই ধারা বজায় রয়েছে। ২০১৯ এর লোকসভা বা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ভোট শতাংশের হার কমেছে। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.৭৩ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ২০১৯ সালে ভোটের হার ছিলো ৮২.৬৩ শতাংশ আর ২০২১ সালে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা নিয়ে মোট ভোট পড়েছিলো ৮৪.১৪ শতাংশ। ১৫ নম্বর বারাকপুর কেন্দ্রে এদিন ভোট পড়েছে ৬৮.৮৪ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ২০১৯ সালে ভোটের হার ছিলো ৭৬.৯২ শতাংশ আর ২০২১ সালে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা নিয়ে মোট ভোট পড়েছিলো ৭৬.২৪ শতাংশ। ২৫ হাওড়া কেন্দ্রেও ভোট পড়েছে ৬৮.৮৪ শতাংশ।

এই কেন্দ্রে ২০১৯ সালে ভোটের হার ছিলো ৭৪.৭৮ শতাংশ আর ২০২১ সালে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা নিয়ে মোট ভোট পড়েছিলো ৭৫.৫৯ শতাংশ। ২৬ উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে এদিন ভোট পড়েছে ৭৪.৫০ শতাংশ। উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে ২০১৯ সালে ভোটের হার ছিলো ৮১.১৬ শতাংশ আর ২০২১ সালে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা নিয়ে মোট ভোট পড়েছিলো ৮৩.৮৭ শতাংশ। ২৭ শ্রীরামপুর কেন্দ্রে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭১.১৮ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ২০১৯ সালে ভোটের হার ছিলো ৭৮.৪৮ শতাংশ আর ২০২১ সালে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা নিয়ে মোট ভোট পড়েছিলো ৭৯.৩৫ শতাংশ। ২৮ নম্বর হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৪.১৭ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ২০১৯ সালে ভোটের হার ছিলো ৮২.৪৭ শতাংশ আর ২০২১ সালে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা নিয়ে মোট ভোট পড়েছিলো ৮৩.১২ শতাংশ এবং ২৯ আরামবাগ লোকসভায় সোমবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের হার ৭৬.৯০ শতাংশ।

আরামবাগ কেন্দ্রে ২০১৯ সালে ভোটের হার ছিলো ৮২.৫৭ শতাংশ আর ২০২১ সালে এই কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা নিয়ে মোট ভোট পড়েছিলো ৮৫.১০ শতাংশ। বড়সড়ো কোন অশান্তি না হলেও ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল একেবারে এড়ানো যায়নি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, এদিন কমিশনের কাছে মোট ১৯৯২ অভিযোগ জমা পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গোলমাল পাকানোর ঘটনায় মোট গ্রেফতার হয়েছেন ৯০ জন। হাওড়ার বালির ১৮৭ বুথে একজন ভুয়ো ভোটার এবং হাওড়ায় ঘুষুরির ১৭২ নম্বর বুথ একজন পোলিং এজেন্ট কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যারাকপুরে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচির গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক মহিলা পোলিং এজেন্টের শ্লীলতা হানির অভিযোগে হাওড়ার বালি তে ১৭৬ নম্বর বুথের একজন প্রিসাইডিং অফিসারকে সরানো হয়েছে। বিড়লা হাইস্কুল, জাঙ্গিপাড়া তে ১৯৪/৩৫ ৯১৫/৩৫ বুথ এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে মহিলাদের শ্লীলতা হানি করার অভিযোগে কমিশন ওই গোটা দলটিকে সরিয়ে দেয়। এ বাদ দিয়ে নির্বাচন ছিল প্রায় ঘটনা বিহীন।