হুগলি, ২৩ মার্চ:- সামান্য বচসার জেরে মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতের মৃত্যু,অভিযুক্ত ফেরার, উত্তেজনা থানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চুঁচুড়া মোগলটুলিতে।হাসপাতালের সামনে অবরোধ বিক্ষোভ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ১৮ মার্চ বিকালে মোগলটুলিতে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পরে যান অমল খান(৪৪)। পরে গিয়েই অকথ্য গালাগালি শুরু করেন। মদ্যপ অবস্থায় গালাগালি দেওয়া নিয়ে মাজিদ আনসারীর সঙ্গে বচসা থেকে মারামারি হয়। অমল ও মাজিদ পরস্পরের আত্মীয়। খেটো বাঁশ দিয়ে অমলের মাথায় ঘা করেন মাজিদ। রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষন রাস্তার ধারে পরে থাকার পর আহতকে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। গতকাল অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চলে। আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইমামবাড়া হাসপাতালের আইসিইউ তে চিকিৎসা চলছিল।আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবরে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত্যু আজ নয় আগে হয়েছে দাবী মৃতের পরিবারের।
পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি কেন এই অভিযোগ তুলে ইমামবাড়া হাসপাতালের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে মৃতের পরিজন ও মোগলটুলির বাসিন্দারা। চুঁচুড়া থানার আই সি রামেশ্বর ওঝা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ সরিয়ে দেন। মৃতের স্ত্রী মৌসুমী বিবি বলেন, ঘটনার দিন আমাকে ফোন করে ডাকা হয়।হাসপাতালে গিয়ে দেখি মাথায় দশটা সেলাই পরেছে স্বামীর জ্ঞান নেই। কি হল ওকে বাঁচাতে পারলাম না। নেশ করত বলে আমার সঙ্গে অশান্তি হত। আমি বলেছিলাম শুধরে যাও। গত পাঁচ মাস আমি স্বামীর ঘরে ছিলাম না মা বোনের বাড়ি থাকতাম। আমাকে বলত বাড়িতে চলে আসো। অমল খানের ভাই সেখ সৌকত বলেন,আমার দাদাকে পিটিয়ে মেরেছে মাজিদ আনসারী। অভিযুক্তকে পুলিশ এখনো ধরতে পারেনি। আমরা বলতে গেলে পুলিশ বাহিনী দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনায় অভিযোগের পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হচ্ছে। গতকাল রাতেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসী চলে।তবে অভিযুক্ত মাজিদ ফেরার থাকায় তার নাগাল পাওয়া যায়নি।