এই মুহূর্তে জেলা

স্ত্রী হত্যার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতেই রাজা স্বপ্নাদেশে শেওড়াফুলিতে মা নিস্তারিণীকে প্রতিষ্ঠা করেন।


হুগলি, ১২ নভেম্বর:- হুগলি জেলার প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম শেওড়াফুলির নিস্তারিণী কালী। প্রায় ২০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই মন্দির। কথিত আছে বর্ধমানের পাটুলির রাজা হরিশ চন্দ্র রায় বর্ধমানের নারায়ণপুরে তিন রানীকে নিয়ে বসবাস করতেন কিন্তু তিন রানীর মধ্যে নিত্যদিন ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। তেমনিই একদিন তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন রাজা হরিশচন্দ্র, ক্রোধের বশে তিনি বড় রানী কে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করে। সেই হত্যার অনুশোচনায় রাজা ঘোড়া ছুটিয়ে বেরিয়ে পড়েন অজানা গন্তব্যে। প্রায় ৭০ মাইল পথ অতিক্রম করে ক্লান্ত রাজার ঘোড়া এসে থামে শ্রীরামপুরের এক বটগাছের নিচে।

ক্লান্তিতে সেই গাছের নিচে বিশ্রাম নেওয়ার সময় রাজা এই মায়ের স্বপ্নাদেশ পান, তিনি নির্দেশ দেন শেওড়াফুলি ঘাটের কাছে একটি পাথর পড়ে আছে সেই পাথর দিয়ে তার মূর্তি তৈরি করে পুজো করতে, তাহলেই সে স্ত্রী হত্যার মহা পাপের থেকে প্রায়শ্চিত্ত পাবে। মায়ের নির্দেশমতো রাজা শেওড়াফুলি ঘাটের কাছে গিয়ে উদ্ধার করে এক কষ্টিপাথর,যে পাথর দিয়েই তৈরি হয় মায়ের এই মূর্তি,যা এই মন্দিরে স্থাপিত হয়।নিত্য অশান্তি থেকে নিস্তার পেতে চেয়েছিল রাজা তাই এই কালীর নাম হয় নিস্তারিণী কালী। সারা বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তিথিতে মায়ের পুজো হলেও কালীপুজোতে হয় বিশেষ পুজোপাঠ।তাই সারা বছরের মতো প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় কালীপূজোতে।মন্দিরের সেবাইত সুমিত ঘোষ জানান এই মন্দির এখন তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুরোহিত সজল ভট্টাচার্য্য জানান মন্দিরের মাহাত্ম্যর কারণে কালীপূজোর দিন হয়ে ওঠে জমজমাট।একইভাবে দেবীর প্রার্থনায় ভক্ত থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।