এই মুহূর্তে জেলা

রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ বিমান বসুর।

হুগলি, ৮ অক্টোবর:- ফিরহাদ হাকিম মদন মিত্রের বাড়ি সহ বারোটি জায়গায় সিবিআই অভিযান নিয়ে বিমান বসু। সিবিআই অভিযান অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। যখন অয়ন শীলের থেকে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল দেরি না করে যে নামগুলো পাওয়া গিয়েছিল সেই নাম ধরে ধরে দেখা উচিত ছিল। রেট চার্ট করে ড্রাইভার থেকে শুরু করে গ্রুপ ডি, অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে। মিউনিসিপাল সার্ভিস পরীক্ষা না নিয়ে অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে টাকার বিনিময় লিস্ট তৈরি করা হয়েছিল।সেটা আরো আগেই এক্সপোজড হতে পারত। যাদের নাম আসবে তাদের বাড়িতে অভিযান চালাতেই হবে। নাম তো এসেছে। আজকে যেসব জায়গায় অভিযান চলছে সেটা তথ্যের ভিত্তিতেই হচ্ছে। হাইকোর্টকে বলতে হচ্ছে ইডি এবং সিবিআই এত ধীর গতিতে কাজ করছে কেন।মোটামুটি সব গুছিয়ে নিয়েছে। যেসব বাড়িতে আজকের রেড করছে দেখলাম টেলিভিশনে বিশাল বিশাল সব বাড়ি।কেউ বড়লোকের ছেলে হতেই পারে।কিন্তু সমস্ত বিষয়টা সন্দেহের উর্ধ্বে নয়।এখন পর্যন্ত যা হয়েছে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়া উচিত। রাজভবনে ১৪৪ ধারায় অভিষেকের ধর্না -এটা তো সবাই ভালো করেই জানে। ওর না হয় বয়সটা কম।হবে ও তো সাংসদ নিয়ম-কানুন জানা উচিত। নিয়ম কানুন জেনেও যদি সেটা ভঙ্গ করে। কাল যদি আপনি জুটিয়ে নিয়ে ওখানে কিছু করতে যান সেটার কি অনুমতি দেবে।ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনে যে সভাটা হয় সেটা শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য আর কাউকে দেয় না।অর্থাৎ আইনকে তারা বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারে, তাতে কোন অসুবিধা নেই এটাই চলে আসছে। রাজ্যপালের ভূমিকা প্রসঙ্গে-রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছিলেন।

রাজ্যপালদের মাঝে মাঝে দিল্লি যেতে হয়। রিপোর্ট দেওয়া এবং নেওয়ার জন্য। এটা সব সময় হয়। সেদিন বাগডোগরা থেকে উনি দিল্লী চলে গেছেন। উনি ওখানে গেলেন সিকিমে আইনের একটা প্লাটুনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মত মানুষ ভেসে গেছে তার হিসেব নেই। মর্টার ভেসে তুলে নিয়ে গিয়ে দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটা অবস্থায় রাজ্যপাল ওখানে গেছেন। আমি রাজ্যপালের সাফাই দিচ্ছি না। বলা হল পালিয়ে গেছে। রাজ্যপাল কোথায় পালিয়ে গেলেন উনি তো দিল্লি থেকে বাগডোগরা গেলেন। তার কি জানা ছিল চিঠি লিখেছিল নোটিশ দিয়েছিল যে তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। বসে গিয়ে বলছে আমরা এখানে বসলাম আর রাজ্যপাল পালিয়ে গেল। জনগণ ভাবছে সত্যি সত্যি রাজ্যপাল পালিয়ে গেছে। তার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীতে তিনি গেছেন। দার্জিলিঙে যেখানে তার ভবন আছে সেখানে উনি গেছেন দেখা করতে চেয়েছে ডেকেছেন দেখা করেছেন।তা তো নয় উনি দেখা করেননি। আর এখানে বলছে রাজ্যপাল না আসা পর্যন্ত আমরা অবস্থান ছাড়ছি না। কিসের অবস্থান কেন অবস্থান। দিল্লীতে কেন গিয়েছিল। সব হচ্ছে মানুষের দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য।এরা মানুষের স্বার্থে কাজ করবে না। মানুষের স্বার্থে কথাও বলছে না।নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য এই খেলা খেলছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে ঢিলেমি নিয়ে- কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলোর কাজ এভাবে হওয়া উচিত না। এখানেও বোঝাপড়া আছে কিনা কে জানে। বোঝাপড়া না থাকলে এসব হতে পারে না। কি করছেন তিনি মাঝে মাঝে বলেন দরকার হলে আমি ফাঁসি কাঠে ঝুলে যাব। চুরি করে কেউ ফাঁসি কাটে ঝোলে। চুরি করে অট্টালিকা বানালে কেউ ফাঁসি কাঠে ঝোলে না।

বিদ্যাসাগরের বোধোদয় গল্পের গোপাল তার মাসির কান কামরে দিয়ে বলেছিল আগে কেন ভালো হওয়ার শিক্ষা দেয়নি। ইন্ডিয়া জোট বাংলায় কি হবে-এখনো বসা হয়নি।বসা হলে ঠিক হবে। এ রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে। ইন্ডিয়া জোটের ব্যাপারটা পশ্চিমবঙ্গে হবে কিনা সন্দেহ আছে। যেমন ধরুন কেরালায় দুটো ফ্রন্ট। এল ডি এফ ও ইউ ডি এফ এল ডি এফ এর নেতৃত্বে আছে সিপিএম আর ইউডিএফ এর নেতৃত্বে আছে কংগ্রেস। সেখানে কি দুটো ফ্রন্ট মিলে একসঙ্গে লড়াই করতে পারবে। যে কারনে ওখানে পারবে না সেই কারণে এখানেও পারবেনা। আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়নি। সেখানে তৃনমূলের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্ন আসে না। মদন মিত্র প্রসঙ্গে-মদন মিত্র গলায় দরি দেওয়ার লোক না, মদন মিত্র কালার ফুল লোক। আপনারাই বলেন। কামদুনির রায়- কামদুনির ঘটনা টিএমসি সরকারের তৈরি করা ঘটনা। ওরা যদি বিচারপতির সামনে সঠিক তথ্য না দেয় তাহলে বিচারপতিরা বিচার করবে কি করে। ওখানে যেসব ঘটনা ঘটেছে আদালতে সাবমিট করেনি। এখন ধরা পরে যেতে পারে তাই সিআইডিকে পাঠাচ্ছে। টুম্পা কয়াল মৌসুমী কোয়েলদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করছে। আর যাচ্ছে যাচ্ছে রাত এগারোটার সময় যাচ্ছে এত রাতে যাওয়ার দরকার কি ছিল। চুঁচুড়া বালির মোরে সিপিআইএম হুগলি এরিয়া কমিটির পার্টি অফিস উদ্বোধনে আসেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।