হুগলি, ২৬ সেপ্টেম্বর:- হকারদের বিরুদ্ধে রেল পুলিশের অমানবিক আচররে প্রতিবাদে হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আরপিএফ এর লাঠিট ঘা খেতে হয়েছিল হকারদের। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এই ঘটনার প্রতিবাদে হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ করে হকাররা। স্টেশন বিউটিফিকেশন হবে বলে হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেল। যা শুরু হয়েছিল কোন্নগর স্টেশন থেকে। এই ঘটনার পর হকারদের জীবন জীবীকায় সংকট দেখা দিয়েছে। আজ সন্ধায় রেল হকারদের পাশে সহমর্মিতার বার্তা নিয়ে হাজির হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙর বিধায়ক হকারদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা কোন্নগর স্টেশন ডেপুটি ম্যানেজারকে জানান। ভাঙর বিধায়ক বলেন, বাংলার বহু মানুষ রেলে হকারি করেন। সামনে পুজো আর তার আগে সেই হকারদের পেট চালানে দায় হয়েছে। এটা চলতে পারেনা। সরকার নিরব হকারদের সমস্যার বিষয়ে।
প্রয়োজনে বিধানসভায় হকারদের সমস্যার বিষয়টি ওঠা উচিত বলে মনে করেন নওশাদ। তিনি বলেন, বিউটিফিকেশনের নামে আমবানী আদানীদের কাছে রেলকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর সব কা সাথ সবকা বিকাশের কথা বলে গরীব মানুষের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। একশ দিনের কাজ বন্ধ করে রেখেছে। রাজ্যের কেউ চুরি করেছে তার জন্য। যদি কেউ চুরি করে থাকে তাকে ধরুক। তা না করে গরীব মানুষের অধিকার কেরে নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এটা চলতে পারেনা। হকারদের জন্য লড়াই আইনের পথে যাবেন বলেও জানান আইএসএফ বিধায়ক। কোন্নগর স্টেশনের হকাররা বলেন, তাদের রেল হকারি করার জন্য লাইসেন্স দিক। অনেকেই আছে যারা কয়েক দশক ধরে হকারি করে পেট চালাচ্ছে। আর অন্য জীবীকা তাদের নেই।তারা কি করবে। স্টেশনের বহু পুরোনো স্টল তুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন করে কাউকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। রেল পুলিশের ভয়ে থাকতে হচ্ছে সব সময় কখন ধরে জরিমানা করে দেবে।