কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর:- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব প্রসঙ্গে ফের একবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় টুইট করে অভিষেক নিজেই জানিয়েছিলেন, ১৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে ইডি। ওই দিনই আবার বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির বৈঠক রয়েছে দিল্লিতে। যে কমিটির সদস্য অভিষেক। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, এটা একেবারেই প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমাদের অনুরোধ, দেখুন রাজনৈতিকভাবে আপানেদের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ রয়েছে। গণতন্ত্রে কোনও কোনও দলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে। কারও সঙ্গে থাকে না। কিন্তু সেখানেও একটা সীমা থাকে। সেই সীমা মেনে এমন কিছু করা উচিত নয় যে তার জন্য পরে অন্য কিছু হতে পারে। আজ একটা সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।
আজ আপনারা যদি এমন করেন তাহলে কাল অন্য একটি সরকার এলে তারাও একই জিনিস করবে। আমরা মনে হয় এসব করা ঠিক নয়। বহু অভিযোগ থাকলেও কারও বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেন না। একথা মনে করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে বহু তথ্য রয়েছে। ৩৪ বছর সিপিএম ক্ষমতায় ছিল। আমি তাদের মুখ্যমন্ত্রী-সহ কাউকেই তো ছুঁইনি। এটাই হল লোকতন্ত্রের সৌজন্য। অভিষেককে ওরা যত ভাবে বিব্রত করা যায় তা করছে। ওকে কখনও লোয়ার কোর্টে যেতে হয়, কখনও আপার কোর্টে যেতে হচ্ছে। কখনও হাইকোর্টে যেতে হচ্ছে। কখনও আবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে হচ্ছে ন্যায় বিচার চাইতে। কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই, অহেতুর হেনস্থা করা হচ্ছে। ওর বিরুদ্ধে কী না করা হয়েছে!
আর আজকের যুবসমাজকে মেনে নিতে পারে না। ওরা যুব প্রজন্মকে ডিসটার্ব করতে চায়। এই জন্যই ওরা এটা করছে। কিন্তু যুব প্রজন্ম এটা মেনে নেবে না। ওরা লড়াই করবে। প্রতিহিংসার জন্য কিছু করা উচিত নয়। কারণ আগামিদিনে তা বুমেবাং হতে পারে। উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির বৈঠক রয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর। আর সেই দিনই অভিষেককে তলব করেছে ইডি। অভিষেক নিজেও জানিয়েছেন তিনি ইডি দফতরে যাবেন। এদিন অভিষেক নিজেই ট্যুইট করে জানান, ‘১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক, যেখানে আমি সদস্য। কিন্তু ওইদিনই হাজিরার জন্য আমাকে নোটিশ দিয়েছে ইডি। ৫৬ ইঞ্জির ছাতি মডেল কতটা ভীতু, সেটাই প্রমাণ করে’।