এই মুহূর্তে কলকাতা

পঞ্চায়েতে হিংসায় মৃত দলীয় কর্মীদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে।

কলকাতা, ২০ জুলাই:- আগামী কাল তৃণমূল কংগ্রেসের বাৎসরিক শহীদ দিবস কর্মসূচি এবার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসায় মৃত দলীয় কর্মীদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস হিসাবে পালিত হবে। দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী এই সমাবেশকে সর্বাত্মক ও সফল করার ডাক দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। দাবি করা হয়েছে এবারের একুশে জুলাই এর সমাবেশ প্রতিবারের ভিড়ের রেকর্ডকে ভেঙে দেবে। গত দুদিন ধরেই বিভিন্ন দূরবর্তী জেলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা শহরে পৌঁছুতে শুরু করেছেন। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, বিধাননগরের বইমেলা প্রাঙ্গণ, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, আলিপুর উত্তীর্ণ অডিটোরিয়াম, শিয়ালদার বহু লজ এবং ধর্মশালায় তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সরেজমিনে পরিদর্শন করে কর্মীদের স্বাচ্ছন্দের বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। ধর্মতলা ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনে সমাবেশের মঞ্চ বাঁধার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল সমাবেস্থলে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন।

তিনি জানিয়েছেন, একুশে জুলাইয়ের জন্য শহরে কলকাতা পুলিশের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী মোতায়েন থাকবেন। হেভিওয়েট রাজনীতিকদের কথা মাথায় রেখে, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি যান-চলাচলের ক্ষেত্রে এবং শহরের সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। আগামীকালের সমাবেশ উপলক্ষে বিপুল জনসমাগম সামাল দিতে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার ৩১ জন পুলিশ আধিকারিককে পথে নামানো হচ্ছে। পাশাপাশি যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার ৮ জন অফিসার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার ৮০ জন অফিসার থাকবেন। বহুতল ভবনের ছাদ থেকেও নজরদারি চালাবে পুলিশ। ধর্মতলা এলাকার ২০টি ছাদ বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৮টি অ্যাম্বুলেন্স, ৪৮টি কিয়স্ক প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৪টি দল এবং কুইক রেসপন্স টিমের ৬টি দলকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।