এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যসভার নির্বাচনে মনোনয়ন জমা তৃণমূলের ছয় প্রার্থীর।

কলকাতা, ১২ জুলাই:- একদিকে যখন রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোট গণনা চলছে তখন বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছয় প্রার্থী আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন। সুখেন্দু শেখর রায়, দোলা সেন এবং ডেরেক ও ব্রায়েনর সঙ্গে এবার শাসক দলের প্রার্থী তালিকার নতুন মুখ প্রকাশ চিক বড়াইক, সামিরুল ইসলাম এবং সাকেত গোখলেও বিধানসভা ভবনে মনোনয়ন জমা দেন। উপস্থিত ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতাও। এবার রাজ্য সভায় মোট ৬টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এছাড়া, ২০২১ সালেই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেরিও পদত্যাগ করায় তাঁর আসনে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে সাকেত গোখলেকে। উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রকাশ চিক বড়াইক এবং সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকা সামিরুল ইসলামকে প্রার্থী করে বড় চমক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, দোলা সেন এবং ডেরেক ও ব্রায়েনদের এবার ফের টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে টিকিট দেওয়া হয়নি পুরনো মুখ শান্তা ছেত্রী এবং সুস্মিতা দেবকে। তাদের বদলে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হয় প্রকাশ চিক বড়াইক এবং সামিরুল ইসলামকে।

চা বাগানের শ্রমিক হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন প্রকাশ চিক বরাইক। ক্রমে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে তাঁর গুরুত্ব বেড়েছে। এবার তাঁকে রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী করেছে দল। তবে সবথেকে বড় চমক সামিরুলকে প্রার্থী করা। আদতে বীরভূমের ছেলে হলেও, রসায়নের এই অধ্যাপক চাকরি করেন গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে। চাষীর ঘরের ছেলে সামিরুল স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছেন কলকাতার মনীন্দ্রচন্দ্র কলেজ থেকে, তারপর স্নাতকোত্তর হয়েছেন দিল্লি আইআইটি থেকে। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে অরাজনৈতিক মুখ হয়ে উঠেছিলেন সামিরুল। ২৪ জুলাই রাজ্য সভার নির্বাচন। ১০ জুলাই থেকে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। শেষ তারিখ, ১৩ জুলাই। বাংলা থেকে রাজ্যসভার এক আসনে জয় নিশ্চিত বিজেপির। বুধবারই, এই আসনের প্রার্থী হিসেবে অনন্ত মহারাজের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেটার কোটবিহারের দাবিতে সরব এই রাজবংশী নেতা। উত্তরবঙ্গে ক্রমে জমি শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। উত্তরের ভোটে রাজবংশী উপজাতকির বিরাট ভূমিকা রয়েছে। রাজবংশী ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই অনন্ত মহারাজকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।