কলকাতা, ২৮ এপ্রিল:- সম্প্রতি মালদার একটি হাইস্কুলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তির ঢুকে পড়ার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার স্কুলগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মজবুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী বা দারোয়ানের শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রশাসনকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। এরপরেই রাজ্যের ৯ হাজারের বেশি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে দারোয়ান পদে নিয়োগের বিষয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়। জানা গেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এর মাধ্যমে স্কুলগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে দারোয়ান পদে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই পদগুলি ফিরিয়ে আনা যায় কিনা সে বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় থানা সাহায্য নিয়ে স্কুলে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের একাধিক চাকরি বাতিল হয়েছে। গ্রুপ ডি পদ থেকে অনেক কেই দারোয়ান হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার জেরে আপাতত সেই সম্ভাবনা দেখছে না রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সূত্রের খবর স্কুলগুলিতে দারোয়ান নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে সেই প্রস্তাব প্রায় তিন বছর আগে নবান্নতে পাঠিয়েছিল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। কিন্তু সেই প্রস্তাব অর্থ দফতরে পড়ে রয়েছে বিবেচনাধীন হিসেবে।নবান্ন সূত্রে খবর সেই ফাইল নিয়ে ফের নড়াচড়া শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ গ্রামাঞ্চলের একাধিক স্কুলে অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও প্রায়শই চুরি হয়ে যায়। যদিও শহর ও শহরাঞ্চলের একাধিক স্কুলে সিসিটিভি লাগানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির মধ্যে একাধিক হলেই সিসিটিভি এখনো লাগানো যায়নি। তার জেরে স্কুলগুলি থেকে কোন গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি গেলে তার চিহ্নিত করাও সম্ভব নয় বলেই দাবি করছেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও দ্রুত তা কার্যকরী করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করছেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ।
