হুগলি ২০ এপ্রিল:- বিজেপির অনেক ক্ষতি হয়েছে,পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির অনেক ক্ষতি হয়েছে,মুকুল রায়ের প্রেক্ষিতে বললেন দিলীপ ঘোষ। আজ চুঁচুড়া আদালতে দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালের ২১ জুলাই গুড়াপ থানার একটি মামলায় জামিন নিতে আসেন বিজেপি সহ সভাপতি।আদালত থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,পশ্চিমবঙ্গের কোন না কোন আদালতে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। আমি যাইনি জানিও না কি কারণে মামলা।আরবকে সম্মান জানিয়ে আমি হাজির হয়েছি। মমতা স্টালিনকে ফোন করে বিরোধী ঐক্যের কথা বলা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন,একবার তো গিয়েছিলেন ইডলি ধোসা খেয়ে এসেছিলেন কি লাভ হয়েছে।যে নিজে দুর্নীতিতে ডুবে আছে মানুষ যাদের সঙ্গে নেই। তার কে হাত ধরবে। সব ডুবে মরবে নাকি।
অমিত শাহ কে ফোন প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবেন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,উনি পদত্যাগ করবেন! সেই দিনটা কি আমরা কোনদিন দেখতে পাবো। দেখা যাক করলে ভালো হয়। মুকুল রায় প্রসঙ্গে বলেন,আগে ওরা বাপ-বেটা ঠিক করুক কে ঠিক বলছেন। তৃণমূলে গেলে অনেকেরই অনেক কিছু কমে যায় কারো অক্সিজেন কমে যায় কারো সোডিয়াম কারো পটাশিয়াম কারো হাইড্রোজেন। কার কি কমেছে সেটা ডাক্তার বলবে।তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে যারা ঘটেছেন এবং আমাদের পার্টিতেও আসার পর ওনাকে যেভাবে সম্মান দেওয়া হয়েছিল সর্বভারতীর ক্ষেত্রে তারপর উনি ধোাক দিয়েছেন। তাতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। মুকুল রায়ের দাবি তিনি বিজেপিতেই আছেন সে প্রসঙ্গে বলেন,উনি কি বলছেন তাতে কি যায় আসে।
পার্থ বাবু তো দাবি করেন তৃণমূল তার পিছনে আছে আসলে আছে কি?উনি বলছেন আমি সুস্থ আছি কিন্তু ওনার ছেলে বলছেন ওনার মাথা ঠিক নেই। উনি বলছেন দিল্লিতে আছি ওনার ছেলে বলছে হারিয়ে গেছেন, কোনটা ঠিক। কেন গেছেন কার সঙ্গে দেখা করতে গেছেন,অনেক দিন বসে বসে এক ঘেয়েমি লাগছিল তাই দিল্লী বেড়াতে গেছেন।পুরনো এমপি মন্ত্রী ছিলেন যেতেই পারেন। এখন কি বলছেন না বলছেন আমরা বুঝতেও পারছি না আসলে এই ধরনের নেতার কথার অনেক মানে হয়। বিরোধী জোট প্রসঙ্গে বলেন,আগে পার্টিটা বাঁচুক তারপর বিরোধী জোট করবে। ৩-৪ জন এম এল এ জেলের ভেতরে আছে। এই গতিতে যদি যাত্রা শুরু হয় থামবে সেটা বোঝা মুশকিল। লোকসভায় ৩৫ টা সিট প্রসঙ্গে বলেন,হ্যাঁ অবশ্যই হবে ১৮ টা তেই কেঁপে গিয়েছিল।