হাওড়া, ১০ মার্চ:- পশ্চিমবঙ্গে পাগলা দাসুর রাজত্ব চলছে। নবান্নে থেকে যাঁরা রাজ্য চালাছে তাঁরা ভূতের মতো রাজ্যের সর্বনাশ করছে। এদের কোনও নীতি নেই। হাওড়ায় মন্তব্য সুজনের। শুক্রবার বিকেলে হাওড়ার শিবপুর থানায় এসে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য সরকার ভয় পেয়েছে। তবে পুলিশ যতই বাধা দিক ওরা বিধানসভা অবধি পৌঁছে গেছে। এজন্য ওদের স্যালুট জানাই। বাংলার শিক্ষা বাঁচাতে এই নতুন ছেলেরা কাজ করবে।বিধানসভার মাথায় উঠে ছাত্ররা ওখানে কাগজ দিয়ে এসেছে। সেখানে দেখিয়ে দিয়ে এসেছে যে তোমাদের মৃত্যুবাণ আমাদের কাছেই আছে। তোমরা বাংলার শিক্ষাকে ধ্বংস করছ। আমি ছাত্রদেরকে স্যালুট জানাচ্ছি। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচাতে গেলে নবান্নে যাঁরা বসে আছে তাদের সরাতে হবে। এখনকার এই ছাত্রদের ওপর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। হাওড়ায় ছাত্রীদের মহিলা পুলিশ আটকায়নি। কলকাতায় ছাত্রদের বিরুদ্ধে উইনার্স টিমকে লাগিয়ে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পাগলা দাসুর রাজত্ব চলছে।
নবান্নে থেকে যাঁরা রাজ্য চালাছে তাঁরা ভূতের মতো রাজ্যের সর্বনাশ করছে। কোনও নীতি নেই। গোটা রাজ্য দেখল বিভিন্ন দলের যৌথ মঞ্চ একত্রিত হয়ে কর্মবিরতির পর ধর্মঘট ডেকেছে। এটা অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছে। সরকারের পেটোয়া কয়েকজন ছাড়া সকলেই এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছে। ওরা এই ধর্মঘটে সহমত। সরকারের নেতা মন্ত্রী যাঁরা তাঁরা দু’হাতে লুটবে। সরকারের যারা আইএএস, আইপিএস তাঁরা লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন পাবেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাবেন। আর চাকুরিজীবীরা তাঁরা কোনও অধিকার পাবে না। তার বিরুদ্ধে এদিনের সফল ধর্মঘট। রাজ্য সরকার যে ব্যর্থ এদিন তা প্রমাণিত হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, এসএফআই-এর বিধানসভা অভিযান কর্মসূচিতে হাওড়া স্টেশনে থেকে বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধর সহ ৩৭ জন এসএফআই সমর্থককে শুক্রবার গ্রেফতার করেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। ধৃতদের সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শিবপুর থানায়। ধৃত এসএফআই কর্মীদের থানা থেকে পার্সোনাল রিলিজ বন্ডে এদিনই ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।