এই মুহূর্তে জেলা

একটাও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, দাবি পর্ষদ সভাপতির।

হাওড়া, ২ মার্চ:-‘একটাও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হ্যাটা করার জন্য স্যাবোটেজ করে কারও কোনও লাভও হয়নি।’ দাবি পর্ষদ সভাপতির। অঙ্ক পরীক্ষা সকলের ভালো হয়েছে বলেও দাবি পর্ষদ সভাপতির।বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষার দিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় হাওড়ায় বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুরে দেখেন। পরীক্ষার্থীদের অঙ্ক পরীক্ষায় গ্রাফ পেপার দেওয়া হয়নি এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘আমরা নোটিফাই করে দিয়েছিলাম। আমরা জানিয়েও দিয়েছিলাম। একটা কনফিউশান হয়েছিল। যে অঙ্ক ছিল সেটা খাতাতেই করার কথা। আমরা সেভাবেই ছাত্রছাত্রীদের বলেছি তোমরা যেরকম নরমাল করো গ্রাফ আঁকতে হবেনা। তোমাদের যেভাবে এঁকে করার কথা সেভাবে আঁকো।’ এবার মাধ্যমিকের শুরুতে কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের কথা উঠছিল সেই প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘একটাও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হ্যাটা করার জন্য। এই স্যাবোটেজ করে কারও কোনও লাভও হয়নি।

আমরা খুব খুশি মানুষের মধ্যে চেতনা এসেছে। আমাদের আবেদনে সকলে সাড়া দিয়েছেন। প্রশাসনের সদর্থক প্রচেষ্টায় এই ধরনের ঘটনা কেউ আর ঘটানোর চেষ্টা করেনি। এই ধরনের ঘটনাও ঘটেনি। সেই কারণেই এবার পরীক্ষাও নির্বিঘ্নে হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন এবার জেলায় জেলায় ঘুরে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষার দিন তিনি হাওড়ায় আসেন। বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুরে দেখেন। পরীক্ষা ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন পর্ষদ সভাপতি। এদিন তিনি হাওড়ায় শিবপুর বি ই মডেল, শিবপুর প্রজ্ঞানন্দ, শিবপুর হিন্দু গার্লস, হাওড়া হাট হাইস্কুল, বালিটিকুরি মুক্তারাম সহ বেলুড় হাইস্কুলে পরিদর্শন করেন। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম কোনও পর্ষদ সভাপতি নিজে জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যাচ্ছেন। এদিন তিনি বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। কথা পরীক্ষকদের সঙ্গে। জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখেছেন তিনি। পর্ষদের দেওয়া নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না তাও তিনি খতিয়ে দেখেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আজকে আমি হাওড়া সদরের কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখলাম।

আজ যেহেতু অঙ্ক পরীক্ষা, এবং এই অঙ্ক পরীক্ষা নিয়ে যেহেতু পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকেরা চিন্তায় থাকেন, কিন্তু সেই চিন্তা সকলেই কাটিয়ে উঠেছেন। সকলেরই পরীক্ষা ভালো হয়েছে। প্রতিদিনই আমি স্কুলগুলোতে যাচ্ছি। কীভাবে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন তা দেখছি। পর্ষদের নির্দেশ মেনে কীভাবে ভালো কাজ হচ্ছে তা দেখে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। যতগুলো জেলা দেখব ততই ভালো। সেজন্যেই ঘুরছি। আমি খুব খুশি। হাওড়ার যেসব স্কুলে আজ এসেছি তারা যেভাবে কাজ করছেন তাদের উদ্বুদ্ধ করাও খুব প্রয়োজন ছিল। আমাদের কাছেও এটা একটা অভিনব অভিজ্ঞতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবছরই প্রথমবার মনিটরিং সিস্টেম চালু করে ভালো সাড়া পাচ্ছি। ৫ শতাংশ ভেনু থেকে খুব স্মুথলি সাড়া পাচ্ছি। ১৫ শতাংশ ভেনুতে ওটিপি, কানেক্টিভিটি সহ সামান্য কিছু সমস্যা হয়েছে। এছাড়া আর কোনও সমস্যা আমরা পাচ্ছিনা। প্রথম বছর হওয়া সত্বেও এবার এই মনিটরিং সিস্টেম চালু করে খুব উপকৃত হয়েছি। পরেরবার থেকে এটা আরও উন্নততর মিডিয়ামের কাজ করবে।’