এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্যের আরও ৮ লক্ষ মহিলাকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।


কলকাতা, ১৭ জানুয়ারি:- রাজ্যের আরও প্রায় ৮ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে আবেদন জানানো রাজ্যের আরও ৭ লক্ষ ৮২ হাজার ২০২জন মহিলাকে এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মোট উপভোক্তার সংখ্যা দাঁড়াবে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬২জন। নতুন উপভোক্তার সংখ্যার নিরিখে সবার আগে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। সেখানকার প্রায় ১ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে চলেছেন। জেলার ৯২,৫০১জন মহিলা নতুন করে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন এবার থেকে। দক্ষিণ ২৪-পরগনা জেলা থেকে এই প্রকল্পের জন্য নতুন করে ৭১ হাজার ১৭৮জন মহিলার নাম উঠেছে। রাজ্যের এই ৮ লক্ষ মহিলা চলতি জানুয়ারি মাস থেকেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা পেতে শুরু করবেন। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে পঞ্চম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবিরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’র জন্য ৮ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৪২টি আবেদন জমা পড়েছিল।

তার মধ্যে বাতিল হয়েছে ২০ হাজার ৯৯৩টি। ২৬ হাজার ৬৪৭টি আবেদন এখনও যাচাই চলছে। কার্যত এই ছবিটাই কিন্তু বলে দিচ্ছে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মহিলাদের আস্থা ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্য সরকারের ওপর আস্থা বাড়ছে। আর সেই কারণেই মমতার ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’ এখন কংগ্রেসের অস্ত্রও হয়ে উঠেছে। মমতাকে দেশের প্রধানমন্তড়ী পদে কংগ্রেস সমর্থন না জানালেও মমতার প্রকল্পকে নকল করে রাজ্যে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সোনিয়া গান্ধির দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অনুকরণে কর্ণাটকে সেখানকার মহিলাদের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে মাসে ২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সোমবার তিনি ঘোষণা করেন, তাঁরা দক্ষিণের এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বছরে ২৪ হাজার টাকা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে দেবেন। মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে নাম মিলিয়ে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গৃহলক্ষ্মী যোজনা’। কর্ণাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পেরতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় প্রকল্পের অনুকরণ করতেই কার্যত বাধ্য হল শতাব্দী প্রাচীন দল।