এই মুহূর্তে জেলা

ক্রিস্টমাস ও নিউ ইয়ারের আগে হাওড়ায় নাকা চেকিং, ড্রোনেও চলবে নজরদারি।


হাওড়া, ২৪ ডিসেম্বর:- ক্রিস্টমাস ও নিউ ইয়ারের আগে হাওড়ায় নাকা চেকিং চালাবে পুলিশ। মদ্যপ অবস্থায় বা বিপদজনকভাবে গাড়ি চালালেও এবার নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। ড্রোনেও চলবে নজরদারি। জানালেন পুলিশ কমিশনার। রবিবার ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন। এরপরই রয়েছে ৩১শের বর্ষবরণ। এবং পরদিন ১লা জানুয়ারি ইংরেজি নিউ ইয়ার। এই উৎসবের সময়ে অনেকেই উশৃংখলভাবে গাড়ি চালান। ট্রাফিক আইন ভাঙেন। এবার যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, কেউ যাতে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় গাড়ি না চালান, বিপদজনকভাবে ড্রাইভিং না করেন, স্পিডে গাড়ি না চালান সেইজন্য আগাম সতর্কতা নেওয়া হলো হাওড়া সিটি পুলিশের তরফ থেকে। শনিবার হাওড়ায় দ্বিতীয় হুগলী সেতু ট্রাফিক গার্ডের তরফে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসে একথা জানান হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, যেহেতু এই উৎসবের মরশুমে প্রচুর মানুষ রাস্তায় বের হন এবং অনেকেই স্পিডে গাড়ি চালান বা বিপদজনক ড্রাইভিং করেন সেই কারণে আমরা মানুষকে অনেক আগে থেকেই এবার সচেতন করছি। এছাড়াও আমরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নাকা চেকিং করছি এবং প্রত্যেককে বলা হচ্ছে যাতে সকলে হেলমেট পরে গাড়ি চালান, সিট বেল্ট পরে গাড়ি চালান।

দুর্ঘটনার প্রবণতা যাতে কমানো যায় সেই প্রচেষ্টা আমরা চালাচ্ছি। এছাড়াও মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট যাতে ইমপ্লিমেন্ট করা যায় সেটাও আমরা নজরে রেখেছি। এদিন পুলিশ কমিশনার কোভিড সচেতনতা সহ শহরের টোটো সমস্যা নিয়েও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। শনিবার হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে ‘উৎসর্গ’ প্রকল্পে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ট্রাফিক গার্ডের তরফ থেকে এক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির ও রক্তদান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। ওই শিবিরের সূচনা করেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। উপস্থিত ছিলেন ফুটবলের জাতীয় প্রশিক্ষক মৃদুল ব্যানার্জি, ডিসি হেড কোয়ার্টার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, ডিসি সেন্ট্রাল শবরী রাজ কুমার, ডিসি ট্রাফিক অর্ণব বিশ্বাস, শিবপুর থানার আইসি অরূপ রায় সহ হাওড়া সিটি পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা। ওই রক্তদান শিবিরে ডিসি হেড কোয়ার্টার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সহ পুলিশ ও সিভিক পুলিশের কর্মীরা রক্তদান করেন। এদিনের শিবির প্রসঙ্গে দ্বিতীয় হুগলী সেতু ট্রাফিক গার্ডের আইসি জয়ন্ত সিংহ জানান, রক্তদান মহৎ দান। সকলকেই রক্তদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

সাঁতরাগাছি সেতু খোলার পর প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে এদিন পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, সবাই খুব খুশি। ১৯ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। পিডব্লুডি পুলিশের সহায়তায় দ্রুত কাজ শেষ করেছে। আগে মানুষকে ঘুরে গন্তব্যস্থলে যেতে হতো। এখন সাঁতরাগাছি রেলওয়ে ওভারব্রিজ হয়ে সোজা যেতে পারছেন। বড়দিন এবং নতুন বছরের আগে মেরামতের কাজ শেষ হওয়ায় সুবিধা হয়েছে। এই উৎসবের সময় কলকাতায় ঘুরতে গেলে সহজে পৌঁছোতে পারবেন সকলে। যানজটের মোকাবিলায় বিভিন্ন জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি রাখা হবে। এর পাশাপাশি নাকা চেকিং করা, হেলমেট পরে গাড়ি চালানোর জন্য মানুষকে মোটিভেট করা হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, কোভিডের ব্যাপারে সরকারি নির্দেশিকা মানা হবে। ভবিষ্যতে যদি আরও কোনও নির্দেশিকা আসে তাহলে মানুষকেও সচেতন করা হবে। অটো ও টোটোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রুট পারমিট নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। টোটোর ব্যাপারে একটা মিটিং হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। অনেক জায়গা থেকেই খবর আসছে টোটোর জন্য সমস্যা হচ্ছে। টোটোর এই সমস্যা কি করে সমাধান করা যায় তার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বসে কোনও একটা সমস্যার সমাধান করা হবে।