সুদীপ দাস, ১৩ নভেম্বর:- একই রোগীকে দেখতে হাসপাতালে তৃণমূল-বিজেপি। তুলকালাম চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে। তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ বিজেপির মহিলা বাহিনীর। তুমুল হৈচৈ হাসপাতাল চত্ত্বরে। একটা সময় হাতাহাতি হওয়ার জোগার। কোনওক্রমে বিজেপির পুরুষ ব্রিগেড পরিস্থিতি আয়ত্তে আনলেন। ঘটনার সূত্রপাত আজ দুপুর পৌণে একটা নাগাদ। গতকাল বাঁশবেড়িয়ার ১৬নম্বর ওয়ার্ডে জগন্নাথ দাসের পরিবারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাখাল দাসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জগন্নাথের বাবার মাথা ফাটে। পাশাপাশি জগন্নাথের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় জগন্নাথের বাবা ও মেয়েকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার জগন্নাথ ও তাঁর মেয়ে অভিযোগ করেন তাঁরা বিজেপি করেন বলেই তাঁদেরকে মেরেছে রাখাল দাস। অভিযোগ ওঠে রাখাল বাঁশবেড়িয়ার দুই তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস ও মিনতি ধরের ছত্রছায়ায় থেকে কাজ করে।
আজ হাসপাতাল থেকে দুজনকেই ছুটি দেওয়া হয়। ঘটনায় হাসপাতালে আে থেকেই উপস্থিত হন বাঁশবেড়িয়ার ১৬নম্বর তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি ধর। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় উপস্থিত হন বিজেপির সদস্যরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার। কিছুক্ষন রোগীদের সাথে কথা বলার পরই শুরু হয় অশান্তি। বিজেপির মহিলা ব্রিগেড তৃণমূল কাউন্সিলর মিনতি ধরকে ঘিরে ধরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে হুগলীর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ কোনক্রমে মিনতি ধরকে দূরে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এরপরই মিনতি ধর অভিযোগ করেন জগন্নাথের বাবা আমার মামা হয়। আমি গতকাল থেকেই ওই পরিবারের সাথে আছি। ইতিমধ্যে পুলিশও রাখাল দাস সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদের জের। কিন্তু বিজেপি ঘটনায় রাজনৈতিক রং ছড়াচ্ছে।