এই মুহূর্তে জেলা

ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স বের করতে গিয়ে ধৃত যুবক।

হুগলি, ২৭ আগস্ট:- ভূয়ো শংসাপত্র দিয়ে ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স বের করতে গিয়ে ধৃত এক যুবক।ধৃতের নাম মহম্মদ রাজা, বাড়ি মুর্শিদাবাদে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার সন্ধায় চুঁচুড়া ফার্ম সাইড রোডে হুগলি জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে যায় মহম্মদ রাজা। ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স বের করার জন্য। ফার্মাসি কাউন্সিল থেকে যে শংসাপত্র দেয় সেই শংসাপত্র ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে দেখিয়ে ফার্মাসিস্টের ছাড়পত্র পাওয়া যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফার্মাসি কাউন্সিলের শংসাপত্র জমা দেয় হুগলি ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে। সেই শংসাপত্র খতিয়ে দেখতেই ধরা পরে যে সেটি জাল। নিয়ম হল একটি শংসাপত্র একজন ফার্মাসিস্ট ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে শংসাপত্রের পিছনে কোন ওষুধের দোকানে সেটি ব্যবহার হবে তা লিখে সিল দিয়ে দেওয়া হয়। শংসাপত্রে কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের সই থাকে। সেই সই দেখে সন্দেহ হয় ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে।হুগলি জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নীলেন্দু মন্ডল জানান,প্রশংসাপত্র দেখেই সন্দেহ হয় আমাদের।

তারপর সেটি ভালো করে খতিয়ে দেখা হয়। কম্পিউটারে তথ্য দেখা হয়। এরপর অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় টালিগঞ্জের একটি কলেজ থেকে ফার্মাসি নিয়ে পড়েছে। জানা গেছে যে শংসাপত্রটি সে ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে জমা দেয় সেটি ইতিমধ্যেই কলকাতার একটি দোকানে ব্যবহার হচ্ছে। এর পিছনে একটা বড় চক্র আছে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আজ চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেয়। তদন্তকারীদের দাবি এই জাল শংসাপত্র তৈরীর একটা চক্র কাজ করছে। জাল শংসাপত্র বানিয়ে ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স বের করে ভাড়া খাটানো হয়। অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত আছে তাদের সন্ধান চালানো হবে।