এই মুহূর্তে কলকাতা

দীঘা শহর সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় জারি, লাল সর্তকতা।


কলকাতা, ১৪ আগস্ট:-আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসকে সত্যি করে রবিবার সকাল থেকে বদলাতে শুরু করে আবহাওয়া। নিম্নচাপের প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় বৃষ্টি। সেইসঙ্গে দোসর হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া আর ভরা কটাল। এর জেরে প্রবল জলোচ্ছাস শুরু হয় দীঘা,তাজপুর, মন্দারমনি,সাগর সহ বিভিন্ন উপকূলে। দীঘা সহ সমূদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞাও জারি রয়েছে। সমূদ্র সৈকতে মোতায়েন পুলিশ নুলিয়া, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। সেইসঙ্গে জেলা পুলিশের তরফের মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে পর্যটক দের। তবুও সৈকতে ভিড় রয়েছে পর্যটকদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এদিন দীঘায় উত্তাল সমুদ্রে পড়ে যায় এক যুবক। পরে নুলিয়াদের তৎপরতায় সুব্রত মন্ডল নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে। এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্তই শনিবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় বড়সড় দুর্যোগের মুখে সাগর, কাকদ্বীপ, বকখালি সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। রবিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট বাড়ে। নদী ও সাগরে সৃষ্টি হয় জলোচ্ছ্বাস।

এদিকে নোনা জল বাজার এলাকায় ঢুকে যাওযায় সমস্যা দেখা যায় দোকানদার সহ ফুটে ব্যবসা করা কাকদ্বীপ বিক্রেতাদের। জলোচ্ছ্বাসের জেরে সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘী সহ একাধিক এলাকায় বাঁধ উপচে জল ঢুকে পড়ে গ্রামে। ফলে সৃষ্টি হয় বন্যা পরিস্থিতি। এর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।রবিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ায় যথেষ্ট শঙ্কিত সুন্দরবনবাসী। সাগরের মুড়িগঙ্গা নদীর জল বাড়ায় কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট সংলগ্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রাস্তায় দাড়িয়ে যায় গাড়ি।নদীতে জল বাড়ায় ফ্রেজারগঞ্জ থানা ও পাশের এলাকায় নোনা জল ঢুকতে শুরু করে। মৌসুনির বাগডাঙাতেও বাঁধ উপচে জল ঢোকে এলাকায়। সাগরের বঙ্কিমনগরে ভাঙা বাঁধ দিয়েও জল প্রবেশ করে এলাকায়।সাগরে জলের পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায়। মন্দিরচত্বর ও মেলা মাঠে জল নোনা জল প্রবেশ করে। ভেঙে যায় অস্থায়ী গার্ডরেল। সাগরে দেখা যায় বড়ো বড়ো ঢেউ।নোনাজল চাষের জমিতে প্রবেশ করায় চাষে ব‍্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে এবছর। এছাড়াও নোনাজলে ক্ষতি হয়েছে মাছচাষ। মিষ্টি জলের পুকুরে নোনাজল প্রবেশ করায় মাছচাষেও ক্ষতির সম্ভবনা দেখছেন কৃষকরা।নোনাজল এভাবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবেশ করায় বন‍্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি আরও বাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিপর্যয় মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সঙ্গে বিপর্যস্ত এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে।যদিও সোমবার থেকে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে বলে খবর।