এই মুহূর্তে কলকাতা

ডেঙ্গু আতঙ্কের মোকাবিলায় তৎপর হলো সরকার।

কলকাতা, ৫ আগস্ট:- রাজ্যে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু আতঙ্কের মোকাবিলায় তৎপর হল রাজ্য সরকার। ডেঙ্গু দমনে আগামী একসপ্তাহ রাজ্য জুড়ে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুক্রবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, স্বাস্থ্য, সেচ দফতরের আধিকারিক এবং সমস্ত জেলাশাসকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৃহস্পতিবার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। চলতি বছর কলকাতা পুরসভা এলাকা এটিই প্রথম ডেঙ্গুমৃত্যু বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, এদিন এসডিও এবং বিডিওদের শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। পুরসভা এলাকাগুলি যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয় সেজন্য জেলাশাসকদের নিয়মিত প্রচার অভিযান চালানো এবং প্রচার অভিযানের উপর নজরদারি করার কথা বলা হয়েছে।

অন্যান্য জেলার নিরিখে জলপাইগুড়ি, হাওড়া, হুগলিতে এখনও পর্যন্ত বেশি ডেঙ্গুসংক্রমণ ধরা পড়েছে। গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গুসংক্রমণের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুপরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিভিন্ন এলাকায় খালগুলি যাতে মশার আঁতুড়ঘর না হয়ে দাঁড়ায় সেজন্য তা সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। এই কাজে যাতে গতি আসে সেই দিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যসচিব, সূত্রের খবর এমনটাই। পাশাপাশি, বিভিন্ন নির্মীয়মান প্রকল্পগুলিতে কোনওভাবে যাতে জল জমে না থাকে সেদিকেও বিশেষ নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কলকাতার ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের ডেঙ্গু মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।

জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম বিশাক মুখোপাধ্যায়। গত সোমবার তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে যায়। তড়িঘড়ি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। তিনি জানান, ওই ওয়ার্ডের যত বন্ধ বাড়ি রয়েছে সেগুলির তালা খুলে পরিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি অতীন ঘোষ সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেন, “দু’দিন জ্বর থাকলে রক্ত পরীক্ষা করানোর জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। এই কিশোর পাঁচদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত থাকলেও তাঁর পরিবার রক্ত পরীক্ষা করাননি। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।”