এই মুহূর্তে কলকাতা

নতুন আট জন মন্ত্রী আজ রাজ্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হলেন।


কলকাতা, ৩ আগস্ট:- মন্ত্রিসভাকে ঢেলে সাজালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দফতর পরিচালনা আরও তৎপর ও মসৃণ করতে এবার মন্ত্রিসভায় পুরনো অভিজ্ঞ মুখেদের পাশাপাশি একঝাঁক নতুন তরুণ তুর্কি নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করলেন তিনি। নতুন তরুণ মুখেদের স্থান দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের গুরুত্ব বৃদ্ধিও হয়েছে চোখে পড়ার মতই। এই হল বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বহু আলোচিত রদবদলের নির্যাস। মুখ্যমন্ত্রী নতুন মন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, বাংলার উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াই এই রদবদলের উদ্দ্যেশ্য। পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী এদিন বিকেলে রাজভবনের থ্রন রুমে মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশিষ্ট জনেদের উপস্থিতিতে পাঁচ পূর্নমন্ত্রী, দুজন স্বাধীন দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন প্রতিমন্ত্রীকে রাজ ভবনে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন। প্রথম দফায় নতুন পাঁচ পূর্ণমন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। এরা হলেন— বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, পার্থ ভৌমিক এবং প্রদীপ মজুমদার।এর পরে একে একে শপথ নেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রতিমন্ত্রী— বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী।

তৃতীয় দফায় শপথ নেন দুই প্রতিমন্ত্রী— তাজমুল হোসেন এবং সত্যজিৎ বর্মন। এরপরেই সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বণ্টন করে দেওয়া হয়।সরকারের প্রকাশিত সেই তালিকা অনুযায়ী নতুন পঞ্চায়েত-গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। বাবুল সুপ্রিয়কে পর্যটন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের দিনহাটার বিধায়ক প্রাক্তন ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা উদয়ন গুহকে নতুন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী করা হয়েছে। পার্থ ভৌমিককে সেচ ও জলপথ মন্ত্রী করা হল। পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী হলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বিপ্লব রায় চৌধুরী। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী হলেন তাজমুল হোসেন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হলেন সত্যজিৎ বর্মন। বন দফতর ও স্বনির্ভর-স্বনিযুক্তি গোষ্ঠীর প্রতিমন্ত্রী হলেন বীরবাহা হাঁসদা। পাশাপাশি দফতর অদলবদল হয়েছে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর। শশী পাঁজাকে শিল্প-বাণিজ্য দফতরের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরে দ্বায়িত্বে থাকছেন। কৃষির পাশাপাশি পরিষদীয় মন্ত্রী হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মলয় ঘটকের থেকে পূর্ত দফতর নিয়ে পুলক রায়কে দেওয়া হয়েছে। পুলক রায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী ছিলেন। সেই দফতরের পাশাপাশি এখন পূর্ত দফতরও দেখবেন তিনি।