সুদীপ দাস, ৪ মে:- টানা প্রায় দু’মাস ব্যাপী মিড-ডে-মিলের টাকা আসছে না। ফলে বাধ্য হয়েই বন্ধ করে দিতে হলো রান্না। সোমবার থেকেই একে একে বন্ধ হতে হতে বুধবার পঞ্চায়েতের সবকটি অঙ্গনওয়ারিতেই রান্না বন্ধ হয়ে গেলো। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হুগলীর চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের কোদালিয়া ১নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। এই ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে সবথেকে বড় পঞ্চায়েত কোদালিয়া ১নম্বর। তাই অঙ্গনওয়ারির সংখ্যাও বেশী। মোট ৩৭টি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র রয়েছে এখানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অঙ্গনওয়ারির শিক্ষিকারা বলেন কোথাও দু’মাস কোথাও বা চার মাস ধরে মিড ডে মিলের জন্য সরকারী বরাদ্দ আসছে না। শিক্ষিকারা নিজেরাই কড়ির টাকা গুনে শিশু ও মায়েদের আহারের ব্যাবস্থা করেছেন। কিন্তু তাঁদেরও ক্ষমতা সিমিত। তাই বাধ্য হয়েই রান্না বন্ধ করতে হয়েছে।
গরমের ছুটি পরলেও আই.সি.ডি.এস কেন্দ্রগুলিতে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন মিড ডে মিল রান্না হয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে কেন্দ্রে অভিভাবকরা এসে রান্না করা খাবার নিয়ে যায়। অঙ্গনওয়ারির রান্না করা খাবার শিশুদের পাশাপাশি গর্ভবতি মায়েদেরও দেওয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দ টাকা না আসায় কোদালিয়া ১নম্বর পঞ্চায়েতের সবকটি অঙ্গনওয়ারিতেই সেই রান্না বন্ধ হয়ে গেলো। বুধবার এই পঞ্চায়েত একাধিক অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেলো তালা বন্ধ। রান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে এই পঞ্চায়েতের প্রধান শুক্লা চ্যাটার্জী বলেন মার্চ মাসে অর্থ বর্ষ সমাপ্তির পর দু’এক মাস টাকা আসতে সমস্যা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানলে নিশ্চই ব্যাবস্থা নেবেন। অন্যদিকে, অঙ্গনওয়ারিতে রান্না বন্ধ হওয়ায় সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য নেতা তথা কোদালিয়া ১ এলাকার বাসিন্দা স্বপন পাল অত্যন্ত বাজে অবস্থা। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মদ খাওয়ার টাকা দিচ্ছেন, কিন্তু শিশুদের মিড-ডে-মিল বন্ধ।