সুদীপ দাস, ২৭ ফেব্রুয়ারি:- শুরুটা হয়েছিলো ২০১৮ তে। সেবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেই রাজ্যে বিজেপির উত্থানের ইঙ্গিত মিলেছিলো। ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে দিকে দিকে বিজেপির জয় রাজ্যের বিরোধী রাজনীতির চিত্রপটই পরিবর্তন করে দিয়েছিলো। আর বছর খানেক আগে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের মুখ থুবরে পরা বিজেপিকেই রাজ্যের ২য় রাজনৈতিক দলের শিরোপা তুলে দিয়েছিলো। কিন্তু মাত্র এক বছরেই ছবিটা অনেকটাই বদলে গেলো। মাস দেড়েক আগে কোলকাতা পুরনিগম নির্বাচন বামেদের কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখিয়েছিলো। আর চলতি মাসের ১৪ তারিখ রাজ্যের চারটি পুরনিগমের ফলাফল সিপিএমকে অনেকটাই বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে। এবারে রাজ্যের ১০৮টি পুর নির্বাচনের দিনেও হুগলী জেলায় মূলতঃ তৃণমূল বনাম সিপিএমের অস্তিত্বি জানান দিলো।
কয়েকটি জায়গায় বিজেপি শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুললেও তা সেভাবে আমল পেলো না। জেলায় যেকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলো তার সিংহভাগই বাম বনাম তৃণমূলের মধ্যে। জেলার সদর শহর হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার বেশকয়েকটি ওয়ার্ডে হাতাহাতি থেকে ক্যাম্প ভাঙচুর যাই ঘটলো না কেনো সবকটাতেই বাম বনাম তৃণমূল। শ্রীরামপুরে, ভদ্রেশ্বর, আরামবাগ, তারকেশ্বর, বাঁশবেড়িয়া, ডানকুনি প্রভৃতি এলাকায় ভোটের দিন রাজনৈতিক উত্তেজনার মত যা যা ঘটনা ঘটলো প্রায় সবকটিতেই স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললো বামেরা। সমগ্র রাজ্যের ঘটনায় আগামিকাল বিজেপি ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ ডাকলো বটে, তবে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া ভোট ময়দানে বিরোধীদের আসন কিন্ত অলংকৃত করলেন বামেরাই।