এই মুহূর্তে জেলা

তৃণমূলের তালিকা্য় ছাপানো “দাস” উধাও, মনোনয়নে “দত্ত” চুঁচুড়ার ৭নম্বর ওয়ার্ডে!

হুগলি, ৮ ফেব্রুয়ারি:- শেষমেশ হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন রীতা দত্ত। যদিও দলের হয়ে সর্বশেষ তালিকায় এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জনৈক রীতা দাসের নাম দেখা যায়। রীতা দাস কে? তা নিয়ে ধন্দে ছিলো ৭নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরাও। চুঁচুড়ার বিধায়কও সেসময় জানিয়ে ছিলেন রীতা দাস নামে তিনি কাউকে চেনেন না। পরে তিনিই জানিয়ে দেন ৭নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মনিদীপা সরকার। প্রসঙ্গত তৃণমূল ওয়েবসাইটে থাকা দলীয় প্রার্থীদের তালিকায় মনিদীপা সরকারের নাম রয়েছে। বিধায়কের কথামত ৭নম্বর ওয়ার্ডে মনিদীপা সরকারের নামে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে যায়।

কিন্তু এরপরই বেঁকে বসেন ৭নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে ২০১৫সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হওয়া প্রার্থৃী রীতা দত্ত। রীতাদেবী বলেন আমার বাপের বাড়ির পদবী দাস। সেই পদবিই নাকি দল প্রার্থী তালিকায় ছেঁপেছেন। রীতাদেবী বলেন কোলকাতায় দলের রাজ্য নেতার কাছ থেকে নিজের নাম নিশ্চিত করেই তিনিও ৭নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখন শুরু করে দেন। রীতা দাসের নামে দেওয়ালও লেখা হয়ে যায়। একই ওয়ার্ডে একই দলের দু’জন প্রার্থীর নাম দেখা যায় ৭নম্বর ওয়ার্ডে। সেদিন বিধায়কও জানিয়ে দেন ৭নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে আমাকে কিছু বলবেন না।

ওই ওয়ার্ডে কে দলের হয়ে টিকিট পেয়েছে সেটাই তিনি জানেন না। তাই সকলেরই প্রশ্ন ছিলো আখেরে এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল হয়ে কে মনোনয়ন জমা দেয় সেদিকে নজর ছিলো সকলের। এদিন দেখা গেলো রীতা দত্তই তৃণমূলের হয়ে ৭নম্বর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন জমা দিলেন। মনোনয়নের আবেদন পত্রেও দেখা গেলো প্রার্থীর নাম রীতা দত্ত। অথচ রীতা দত্তের নাম তৃণমূলের কোন তালিকাতেই নেই। তারউপর এই রীতা দত্তই গতবছর এই ওয়ার্ড থেকেই তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। সেবার দলের তালিকায় রীতা দত্ত হিসাবেই নাম ছাপা হয়েছিলো। তাহলে এবছর প্রার্থী তালিকায় রীতা দাস কেন? একটা সর্বভারতীয় দলের রাজ্য নেতৃত্বরা একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর বাপের বাড়ির পদবি হঠাৎ করেই কিভাবে জানলেন সে প্রশ্নও কিন্তু অনেকের মনেই ঘোরাফেরা করছে!