কলকাতা, ২০ জানুয়ারি:- ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করা যাবে না। এমনকী সারের সঙ্গে অন্য কিছু কিনতে কৃষকদের বাধ্য করা যাবে না। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকে সব সার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে স্পষ্টভাবে একথা জানিয়ে দিয়েছেন। কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশ যাতে অমান্য করা না হয় তা দেখার জন্য জেলা শাসকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কৃষি দপ্তরে বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগ আসছিল। এই অভিযোগ পেয়েই কৃষিমন্ত্রী এদিন সার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তিনি তাঁদের সতর্ক করে দেন সরকার কোনওভাবেই বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়টি মেনে নেবে না। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ইতিমধ্যেই অন্যান্য বেশ কিছু কারণে কয়েকটি সার প্রস্তুতকারক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
এদিন সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে কৃষিমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো হয়, সার আনতে রেলের রেক ভাড়া অনেক বেশি দিতে হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী জানান, এবিষয়ে তাঁর কিছু করার নেই কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি জানাতে হবে। শুধু সারের দামের সমস্যা মেটানোই নয়, কৃষকরা যাতে চা, করার জন্য সহজে যন্ত্রপাতি ভাড়া নিতে পারেন তাই প্রতিটি ব্লকে ‘কাস্টম হায়ারিং সেন্টার’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি দপ্তর। চলতি বছরের মার্চের মধ্যে নতুন ১৪৫টি সেন্টার তৈরি করা হবে। এই সেন্টারগুলির জন্য যা খরচ হয়, তার ৪০ শতাংশ অর্থ অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। এক একটি সেন্টার তৈরি করতে খরচ হয় ৬০ থেকে ৬৫ লক্ষ। ১৪৫টি নতুন সেন্টার তৈরি করতে ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কৃষি দপ্তর।