এই মুহূর্তে জেলা

করোনার বিধি-নিষেধকে উপেক্ষা করেই শাসক দলের মনোনয়ন চন্দননগরে।

সুদীপ দাস, ৩ জানুয়ারি:- করোনার প্রকোপ থেকে চন্দননগরকে বাঁচাতে বন্ধ হোক অকাল পৌরভোট, দাবী চন্দননগর নাগরিকবৃন্দের! সোমবার সাত-সকালে এই পোষ্টারে ছয়লাপ গোটা চন্দননগর শহর। চন্দননগরের বুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পুরনো ব্যানারের উপর এই পোষ্টার পরেছে। যা নিয়ে সরগরম এই শহর। প্রসঙ্গত আগামী ২২শে জানুয়ারী চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচন। আর আজ থেকে কোভিড বিধি নিয়ে পুনরায় কড়াকড়ি চালু করছে রাজ্য সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে এই পোষ্টার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই পোষ্টার মারলো তা নিয়ে সকলেই সন্ধিহান থাকলেও পোষ্টারের বক্তব্যকে অনেকেই সমর্থন করছেন। যাদের নামে পোষ্টারের দায় স্বীকার করা হয়েছে সেই চন্দননগরবৃন্দের অনেকেই কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ভোট করানোর বিরোধীতা করছেন।

চন্দননগরের বাসিন্দা বিদ্যুৎ দে বলেন কারা পোষ্টার মেরেছে জানি না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পোষ্টারের বয়ান সমর্থনযোগ্য। পুরনিগমের ১৪নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী ঐকতান দাশগুপ্ত বলেন এই পোষ্টার মারা আখেরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জের। যারা টিকিট পায়নি সেই পক্ষই এই পোষ্টার মেরেছে। অন্যদিকে, বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউও এই পোষ্টার মারার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন। যদিও তৃণমূল বিরোধীদের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এবিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা চন্দননগরের প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দায়ী করে বলেন এটা তাঁধর চক্রান্ত।