আরামবাগ, ১৫ ডিসেম্বর:- মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে আরামবাগ ব্লকের হিয়াতপুর সংলগ্ন পুরা এলাকায় বেশ কয়েকজন যুবককের গাড়ি ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত্রি সাড়ে ১১টা নাগাদ। শেখ রিয়াজুল সহ বেশ কিছু বন্ধু বান্ধব মিলে এদিন মেলা দেখতে গিয়েছিল আটঘোড়ায়। এরপর মেলা দেখে বাড়ি ফিরছিল তারা। হঠাৎই ৬-৭ জন দুষ্কৃতী লাঠি-বললাম-কুড়ুল প্রভৃতি নিয়ে তাদেরকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি আক্রান্তরা জানাই, তাদের গাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়, গাড়ি আনতে গেলে সেই সময়েও তাদেরকে মারধরও করা হয়। আক্রান্ত যুবকদের আরোও অভিযোগ, আমাদের বাড়ি গুলি দুষ্কৃতীরা করে নেয়, এরপর আমরা বাইক আনতে গেলে বন্দুক নিয়ে গুলি করে দেবার কথা বলে দুষ্কৃতীরা।
শেখ রিয়াজুল সহ কয়েকজন আক্রান্ত যুবক বুধবার আরামবাগ থানার দারস্থ হয়। মারধরের কথা অস্বীকার করে, দক্ষিণ নারায়ণপুর গ্রামের সদস্য হরিপদ ঘোষ বলেন, প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে প্রথমেই আমি আমাদের তৃণমূলের কার্যালয়ে যায়। সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় দেখি বেশ কিছু দুষ্কৃতী মাথায় টুপি পড়ে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। এবং আমাকে মারার জন্য এগিয়ে আসে। তা দেখে আমি চিৎকার করি এবং গ্রামবাসীরা বেরিয়ে আসে। যা করার গ্রামবাসীরা করেছে। কেননা দুষ্কৃতীরা তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে না। আমরা পুরো বিষয়টা থানায় জানিয়েছি। দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি চাইছি আমরা। প্রশাসনকে বলেছি যা করার তারাই করবেন। মারধর প্রসঙ্গে গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ পাল জানান, আমাদের গ্রামের সদস্য দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাবার সময় বেশ কিছু দুষ্কৃতী তার ওপর চড়াও হয়। এরপর হরিপদ বাবুর চিৎকার-চেঁচামেচিতে আমরা বেরিয়ে আসি। তখন দুষ্কৃতীরা তাদের বাইক ফেলে রেখে চলে যায়। এখন দেখার প্রশাসন সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করে কি সিদ্ধান্ত নেয়।