হাওড়া, ১১ ডিসেম্বর:- গত ২৪ নভেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে কিছু তথ্য আমি জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার কোনও উত্তর পাইনি। শনিবার হাওড়ায় এসে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল। শনিবার সকালে হাওড়ায় প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট নন্টে ফন্টে, বাঁটুল দ্য গ্রেট এর স্রষ্টা নারায়য়ণ দেবনাথের বাড়িতে এসে তাঁর খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। হাওড়া পুরসভার ভোট নিয়ে তিনি বলেন, ভোট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হাওড়া ও বালি পুরসভার বিভাজন বিষয়টি বিচারাধীন আছে।আমি গত ২৪ নভেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে কিছু তথ্য জানতে চাই।কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন উত্তর পাইনি।অথচ উল্টে আমার বিরোধিতা করা হচ্ছে।যেটা আমার ভালো লাগছেনা। প্রয়োজন হলে বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।এর পাশাপাশি তিনি বলেন,বিএসএফের মত আধা সামরিক বাহিনী দেশের সুরক্ষাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।রাজ্যের সীমান্ত এলাকাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল। যেখানে কেন্দ্রীয় ভাবে ৫০ কিমি সুরক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেখানে রাজ্য কেন ১৫ কিমির কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন বিরোধিতা করছেন। রাজ্যের উচিত বিএসএফের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা। এদিন নারায়ণ দেবনাথের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে রাজ্যপাল বলেন তিনি প্রবীণ এই শিল্পীর আশীর্বাদ নিয়ে গেলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য রাজভবন থেকেও ব্যবস্থা করা হবে। তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানও দেওয়া হয়েছে। তবে স্মারক কেন আসেনি এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ হাওড়ার শিবপুরে কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথের বাড়িতে আসেন রাজ্যপাল। তিনি মিনিট দশেক সেখানে ছিলেন। নারায়ণ দেবনাথের শরীর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে রাজ্যপাল খোঁজখবর নেন। নারায়ণ দেবনাথ এই মুহূর্তে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। তিনি ভারত সরকারের পদ্মশ্রী খেতাবেও ভূষিত। এদিন নারায়ণ দেবনাথের খোঁজখবর নিতেই রাজ্যপাল সেখানে এসেছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।