এই মুহূর্তে জেলা

চার বছরেও খুললো না ইন্ডোর , আশাহত চুঁচুড়াবাসী !

সুদীপ দাস , ৮ ডিসেম্বর:- দাবী ছিল দীর্ঘদিনের। সেই দাবী মেনেই ২০১৭সাল থেকে চুঁচুড়ার গোর্খা ময়দানে শুরু হয় ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কাজ। শুরুতেই স্টেডিয়ামের জন্য অতিরিক্ত টাকা চাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকের মুখে পরেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। দিনটা ছিলো ২০১৭সালের ১লা জুন। তারকেশ্বরে আয়োজিত হুগলী জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়কে এই ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরীর জন্য বরাদ্দ হওয়া রাজ্য সভার সাংসদ তহবিলের ৫কোটি টাকা যথেষ্ট নয় বলে জানান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন মোট ১৪কোটি টাকা লাগবে। যা নিয়ে প্রকাশ্য বৈঠকেই বিধায়ককে তুলোধনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে কম বিতর্ক কিংবা বিরোধীদের রসিকতার মুখে পরতে হয়নি অসিতবাবুকে। তবে পরে রাজ্য ক্রীড়া দপ্তর থেকে অতিরিক্ত ৮কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিলো।

মোট ১৩কোটি টাকা ব্যায়ে আম্তর্জাতিক মানের ঝাঁ চকচকে সেই ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কাজ আজও সম্পন্ন হলো না। বাইরে থেকে রং-এর প্রলেপ পরলেও ভিতরে খেলার জায়গা এখনও তৈরী হয়নি। গঙ্গা পারের দিকে সীমানা প্রাচীরও সম্পন্ন হয়নি। তিনদিক পাঁচিল ঘেরা এই স্টেডিয়ামের ভিতরের অংশে এখন জন্মেছে আগাছা। প্রায় ৮বিঘা জমি নিয়ে তৈরী এই স্টেডিয়াম চত্ত্বর এখন দিনের আলোয় কার পার্কিং-এর আদর্শ জায়গা হয়েছে। আর রাতের অন্ধকারে আদর্শ জায়গা হয়েছে অসামাজিক কার্যকলাপের। অর্থাৎ কমবেশী সবই হচ্ছে। কিন্তু হচ্ছে না শুধু খেলা। যা নিয়ে আশাহত চুঁচুড়াবাসী তথা ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। যদিও স্টেডিয়ামের উদ্বোধন নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। অসিতবাবু স্টেডিয়ামে আগাছা গজানো থেকে শুরু করে রাতে অসামাজিক কার্যকলাপের কথা স্বীকার করে নিয়েই বলেন চালু হওয়ার আগে যে কোন জায়গাতেই এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।

পুলিশের সেদিকে নজর রয়েছে। তবে উদ্বোধন হয়ে গেলে সেখানে লোকজন থাকবে। থাকবে প্রহরীর ব্যাবস্থাও তখন সেখাে খেলা ছাড়া আর কিছুই হবে না। স্টেডিয়ামের পিছন দিকের অসমাপ্ত প্রাচীর প্রসঙ্গে অসিতবাবুর বক্তব্য সেখানে একটি মন্দির রয়েছে। রয়েছে কয়েকটি দোকান। সেগুলো না ভেঙে আমরা তাঁদের সাথে কথা বলেই শীঘ্রই সমাধান সূত্র বের করছি। আর উদ্বোধন? এবিষয়ে বিধায়কের আশাব্যাঞ্জক বক্তব্য হুগলীতে অনুষ্ঠিত আগামী প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই চুঁচুড়া ইন্ডোর স্টেডিয়ামের দ্বারোদঘাটন করার প্রচেষ্টা চলছে। সত্যিই কি আশু পথচলা শুরু হবে এই ইন্ডোরের? উত্তরের অপেক্ষায় আপাতত হুগলীতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের দিকেই নজর থাকুক জেলাবাসীর!