এই মুহূর্তে কলকাতা

কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই , রাজ্যপালকে জানিয়ে দিল কমিশন।

কলকাতা, ৭ ডিসেম্বর:- কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। রাজ্যের হাতে থাকা পুলিশ বাহিনী দিয়েই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট করানো সম্ভব বলে রাজ্যপালকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের তরফে কলকাতা পুরভোটে বাহিনী নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টও রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরসভা ভোটের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে তলব করেন। তবে কমিশনার নিজে রাজভবনে যাননি। তার বদলে মুখ বন্ধ রিপোর্ট বেলা আড়াইটে নাগাদ রাজভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সেখানে জানানো হয়েছে এই মুহূর্তে পুরসভা ভোট পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে না। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আজ সিআইএসএফ এর ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভোট করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন হলে কত সংখ্যক বাহিনী পাওয়া সম্ভব তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যপালকে দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে মোট ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা পুলিশ থাকবে ২৭ হাজার এবং রাজ্য পুলিশ থাকবে ৫ হাজার। শেষবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এই একই সংখ্যক বাহিনী ছিল বলে খবর রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

তবে যেহেতু এবার বুথের সংখ্যা বেড়েছে তাই এবার পুলিশের সংখ্যাও বাড়বে। প্রতিটি বুথে একজন সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) এবং একজন অতিরিক্ত সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) থাকবেন। তার সঙ্গে দুইজন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবেন। লাইন সামলানোর জন্য লাঠিধারী কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি বরোতে একটি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে যাতে তারা যেকোন ধরনের পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। এই কিউ আরটি গুলি কলকাতা পুলিশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) দ্বারা পরিচালিত হবে। নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ার বা গ্রিন পুলিশ ব্যবহার করা হবে না।