এই মুহূর্তে জেলা

হটাৎ ঘূর্ণিঝড়ের খবরে দিশাহারা চাষীরা , ধান খামারজাত করতে চাষীদের ব্যায় তিনগুন।

খানাকুল, ৩ ডিসেম্বর:- হঠাৎ ঘুর্নিঝড়ের খবরে দিশাহারা অবস্থা চাষীদের। জমির ধান দ্রুত খামারজাত করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অতিরিক্ত শ্রমিক ও মেশিন ব্যবহার করে ধান খামারজাত করতে ব্যয় অনেক বেশি হচ্ছে চাষীদের।হুগলির খানাকুলের চাষীরা তাই আর্থিক সংকটের সম্মুখীন। তাদের দাবী ঘুর্নিঝড় ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই খানাকুলের কুমারহাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গার চাষীরা দ্রুত ধান জমি থেকে তুলে ঝাড়াই কটতে শুরু করে।এমন কি জমিতেই আধুনিক মেশিনে দ্রুত ধান ঝাড়াই করতে শুরু করে। এই কাজ করতে গিয়ে চাষের খরচ তিনগুন বেড়ে গেছে। এক বিঘা জমিতে প্রায় দশ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এমনটাই দাবী চাষীদের।এই বিষয়ে খানাকুলের এক চাষী জানান, জমি থেকে ফসল তোলা থেকে শুরু করে ধান ঝাড়াই করতে দুইগুন খরচ হচ্ছে।

তা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতিতে সব জমি থেকে ধান তোলা সম্ভব নয়। চাষীরা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে আর একজন চাষী অশোক পাল বলেন, পঞ্চায়েত মাইকিং করার পরেই জমি থেকে ধান তোলার তোরজোর শুরু হয়।এতে করে খরচ বাড়ছে।সবমিলিয়ে ঘুর্নিঝড়ের খবরে দিশাহারা অবস্থা চাষীদের। উল্লেখ্য শনিবার সকালে উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। এর প্রভাবে সপ্তাহান্তে বাংলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। শনিবার থেকে কলকাতা-সহ উপকূল ও সংলগ্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শব্দটি সৌদি আরবের দেওয়া। এই ঘূর্ণিঝড়ের অর্থ ‘উদার’ বা ‘মহান’। থাইল্যান্ডের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। এই খবর চাষীদের মহলে উদ্বেগ বাড়ায়। সবমিলিয়ে দিশাহারা অবস্থা চাষীদের।