এই মুহূর্তে কলকাতা

সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একাংশের মদতেই সীমান্তে গরু পাচার চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ।

কলকাতা, ২৪ নভেম্বর:- সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একাংশের মদতেই সীমান্তে গরু পাচার চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বি এস এফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে গরু সহ চোরাচালান আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মনে। বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে এই বিষয়টিকেও কেন্দ্রের সামনে তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার। এমনটাই খবর প্রশাসনিক সূত্রে। তাই গত পাঁচ বছরে এরাজ্যে গোরু পাচার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে। রাজ্যের সমস্ত জেলার পুলিস সুপার এবং কলকাতা বাদে কমিশনারটেগুলির কমিশনারদের কাছ থেকে গরু পাচার সম্পর্কে তথ্য তলব করেছে নবান্ন। ২০১৭ থেকে চলতি মাস পর্যন্ত, এরাজ্যে মোট কতগুলি গোরু পাচারের মামলা দায়ের হয়েছে, তা ভিত্তিতে জানাতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি, এই পাঁচ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মোট কত গোরু উদ্ধার হয়েছে সেই সংখ্যাও জানতে চাওয়া হয়েছে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকার পাঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে বিএসএফের কাজের পরিধি (বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্র) ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করে। যা নিয়ে শাসক-বিরোধী দলের মধ্যে তরজা চলছে। গোরু চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে এরাজ্যে কর্মরত বিএসফের পদস্থ কর্তার গ্রেপ্তার হওয়ার নজির আছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নবান্নের এই তথ্য তলবকে ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।