এই মুহূর্তে

শুরুতেই সুপার হিট মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

কলকাতা ১৮ নভেম্বর:- শুরুতেই সুপার হিট মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের দুয়ারে রেশন প্রকল্প। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে গত মঙ্গলবার থেকে গোটা রাজ্যে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। মানুষের দোর গোড়ায় রেশন পৌঁছে দিতে শুরু করেছেন ডিলাররা। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে দারুণ খুশি আমজনতা। কয়েক কিলোমিটার হেঁটে রেশন আনতে বাড়তি খরচ করতে হয় অনেক উপভোক্তাদের। এছাড়াও একই জায়গায় একাধিক মানুষ আসায় বহুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় রেশন দোকানে। সেই সব পর্বে পাকাপাকি ছেদ ফেলেছে দুয়ারে রেশন। একুশের নির্বাচনে মানুষের কথা ভেবেই ক্ষমতায় আসলে ‘দুয়ারে রেশন’ চালুর প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েই প্রতিশ্রুতি পূরণ করে ‘দুয়ারে রেশন’ চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের উস্কানিতে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের বন্ধের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় রেশন ডিলারদের একাংশ।

কিন্তু হাইকোর্টে ধোপে টেকেনি তাদের আর্জি। মুখ্যমন্ত্রীও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চলবেই। ‘দুয়ারে রেশন’ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘সারা রাজ্যেই দুয়ারে রেশন চালু হয়েছে। মানুষের কাছ থেকে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। আগে মানুষকে রেশন তোলার জন্য রেশন দোকানে ভোর থেকে লাইন দিতে হতো। যাঁদের একটু দূরে বাড়ি, তাঁদের অনেক ঝক্কি পোহাতে হতো। এখন তাঁরা নিজের এলাকায় বসে রেশন পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পেরে আমরাও ভীষণ খুশি।’ বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক এই প্রকল্পের শুরুতেই নিজের হাতে রেশন দিয়েছেন। যেমন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল দু’টি পরিবারের হাতে রেশন সামগ্রী তুলে দেন। দুয়ারে রেশন নিয়ে খুশি সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর, ভাঙড়ের উপভোক্তারা। খাদ্য দফতর জানিয়েছে এখন সপ্তাহে চারদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী দিনের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।