এই মুহূর্তে

১৭৫৪ সালে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু কৃষ্ণনগরে।

কৃষ্ণনগর, ১৪ নভেম্বর:- ১৭৫৪ সাল, বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। এক দিকে রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে, বনিকের মানদন্ড রাজদন্ড পেতে আগ্রহী, অন্য দিকে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে নবাব আলীবর্দি‌ ও তাঁর নাতি সিরাজ বাংলার নবাবী রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। চতুর নবাব চাইলেন নদিয়ারাজ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সাহায্য।ডেকে আনলেন তাঁকে। মহারাজ সিরাজের ব্যবহারে নিমরাজি হন, ফলশ্রুতিতে রাজকর বাকী থাকার অভিযোগে রাজাকে বন্দী করেন। ছাড়লেন শারদীয়া নবমীর দিন। নৌকাযোগে মহারাজ কৃষ্ণনগর ফিরে আসছেন। দূর থেকে ভেসে আসছে ঢাকের আওয়াজ। মাঝিদের জিজ্ঞেস করলেন “ঢাক বাজে কেন? ” উত্তর এলো “মহারাজ আজ মহানবমী তাই ঢাক বাজজে”।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁর পূজিত রাজরাজে‌শ্বরীর নাম করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লেন। শঙ্খ, চক্র, তীর ধনুক হাতে, সিংহ বাহিনী এক দেবী স্বপ্নে দেখা দিলেন তাঁকে। বললেন আগামী শুক্লানবমীতে তাঁকে পূজো করলেই রাজরাজে‌শ্বরীর পূজো হবে। রাজপ্রাসাদে পন্ডিত দের ডাকা হলো ওরা রায় দিলেন, ইনি দেবী জগদ্ধাত্রী। ২০০০ বছর আগে পূরাণে এই দেবীর উল্লেখ আছে। মহারাজ সেইমতো নবমীর দিন পূজো করলেন। একদিনে ই ৩দিনের দুর্গাপূজা। চন্দননগর নিবাসী ব্যবসায়ী ইন্দ্রনারায়ন চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, যিনি মহারাজের প্রিয় পাত্র, ওই সময় কৃষ্ণনগরে উপস্থিত ছিলেন। ১৭৫৫ সালে তিনি চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পূজো শুরু করেন। এখান থেকে কলকাতায় দেবীর আগমন।